আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদ্রোহীদের দখলে ত্রিপোলি

অতি সাধারণ....প্রধানমন্ত্রী হলে দেশটারে সাজাইতাম ঢাকা, অগাস্ট ২৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুগত সৈন্যদের হঠিয়ে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহী বাহিনী। গাদ্দাফিকে ধরতে তার প্রাসাদে আক্রমণ চলছে। আফ্রিকার তেলসমৃদ্ধ এ দেশটির 'নতুন প্রধান' হিসেবে বিদ্রোহীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। ত্রিপোলির বেশিরভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর মুয়াম্মার গাদ্দাফির বাব আল-আজিজিয়া কম্পাউন্ডের দখল নিতে সোমবার আক্রমণ চালায় বিদ্রোহী বাহিনী। তবে লিবিয়ার ৪১ বছরের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি ওই কম্পাউন্ডে আছেন কি না সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।

তার অনুগত বাহিনী প্রাসাদ রক্ষায় শেষ মুহূর্তের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রোববার রাজধানীর কেন্দ্রস্থলের 'গ্রিন স্কয়ার'সহ ত্রিপোলির বেশিরভাগ এলাকাই নিয়ন্ত্রণে নেয় বিদ্রোহীরা। দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম দিক থেকে ত্রিপোলিতে প্রবেশের সময় হালকা প্রতিরোধের মুখে পড়ে বিদ্রোহী যোদ্ধারা। এক পর্যায়ে তারা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনেরও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্র বলেছেন, ত্রিপোলির ১০ থেকে ১৫ শতাংশ এলাকা এখনো গাদ্দাফির অনুগত সেনদের নিয়ন্ত্রণে।

৬৯ বছর বয়সী গাদ্দাফি সোমবার সকালে এক অডিও বার্তায় বিদ্রোহীদের 'ইঁদুর' আখ্যা দিয়ে তাদেরকে হঠিয়ে দিতে অস্ত্র ধরার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। গাদ্দাফি বলেন, তিনি ত্রিপোলিতে আছেন এবং শেষ পর্যন্ত থাকবেন। আরেক অডিও বার্তায় তিনি বলেন, "আমি ভয় পাচ্ছি, যদি আমরা ঠিকমতো প্রতিরোধ করতে না পারি, তারা ত্রিপোলি জ্বালিয়ে দেবে। তখন এখানে পানি, খাবার, বিদ্যুৎ বা স্বাধীনতা কিছুই থাকবে না। " তবে গাদ্দাফির ওই আহ্বানে জনতার সাড়া দেয়নি।

তার দুই ছেলেকেও আটক করেছে বিদ্রোহীরা। ত্রিপোলির একটি পর্যটন এলাকা থেকে গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর গাদ্দাফির বড় ছেলে মোহাম্মদ গাদ্দাফি আত্মসমর্পণ করেন বলে আল জাজিরা জানায়। বিদ্রোহীরা গাদ্দাফির অনুগত স্নাইপারদের ধরতে ভবনে ভবনে তল্লাশি চালাচ্ছে। আব্দুল রহমান নামের এক বিদ্রোহী যোদ্ধা বলেন, "বিপ্লবীরা ত্রিপোলির প্রায় সব জায়গায় অবস্থান নিয়েছে।

তবে গাদ্দাফির অনুগতরা নিজেদের রক্ষায় শেষ চেষ্টা চালাচ্ছে। । " ত্রিপোলির ভূ-মধ্যসাগরীয় বন্দর ও গাদ্দাফির বাব আল-আজিজিয়া কম্পাউন্ডের কাছে গাদ্দাফির অনুগতরা ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, "স্নাইপাররাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। " বিদ্রোহীরা ত্রিপোলির বেশিরভাগ এলাকা দখলে নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনসহ পশ্চিমা দেশগুলোর নেতারা লিবিয়ায় আরো রক্তপাত এড়াতে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য গাদ্দাফির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। চীন বলেছে, লিবিয়ার জনগণের কাক্সিক্ষত সরকারকে তারা সহযোগিতা করবে।

বিবিসি জানায়, সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে গাদ্দাফির শাসন আমলের আগেকার লিবিয়ার জাতীয় সঙ্গীত গায় ত্রিপোলির পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীরা। 'গ্রিন স্কয়ার'ও তার আগের নাম মারটায়ার্স স্কয়ার ফিরে পায়। সেখানে সমবেত জনতা গাদ্দাফির প্রতিকৃতি পদদলিত করে। তারা লিবীয় সরকারের সবুজ পতাকা নামিয়ে বিদ্রোহীদের করা পতাকা উড়ায়। লায়লা জাওয়াদ নামের ত্রিপোলির এক সেবিকা রয়টার্সকে বলেন, "আমরা সম্ভবত স্বৈরশাসনের কবল থেকে মুক্ত হতে যাচ্ছি।

এটা আমার জন্য নতুন ঘটনা। আমি খুবই আশাবাদী। আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জানাই। " বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এএইচ/জেকে/০২১২ ঘ. ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.