তার ভাষায়, দেশে ‘সন্ত্রাসবাদ’ এবং ‘সহিংসতা’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর জন্যই জনগণের প্রতি এ আহ্বান।
সিসি তার বক্তব্যে সেনা অভ্যুত্থানে দেশটির ইসলামপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ঘটে চলা সহিংসতাকেই বুঝিয়েছেন, যা দমনে জনগণের ম্যান্ডেট কামনা করছেন তিনি।
৩ জুলাইয়ে মুরসি উৎখাত হওয়ার পর থেকেই তার সমর্থকরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে আসছে। মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুড সিসির আহ্বানকে ‘হুমকি’ আখ্যা দিয়েছে।
বুধবার সামরিক বাহিনীর এক গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে সিসি জনগণের উদ্দেশে বলেন, “সন্ত্রাস ও সহিংসতা দমনে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে ক্ষমতা দেয়া এবং এ ব্যাপারে সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে আগামী শুক্রবার রাজপথে নামার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানাচ্ছি”।
“যাতে করে সহিংসতা এবং সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী তা মোকাবেলায় জনগণের সমর্থন-সহযোগিতা নিয়ে কাজ করে যেতে পারে। ”
এ আহ্বানের মধ্য দিয়ে দেশে কোনো অস্থিরতার উস্কানি দিচ্ছেন না দাবি করে সিসি বলেন, তিনি বরং জাতীয় সম্প্রীতিই চাইছেন।
মুরসির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন- এমন অভিযোগ অস্বীকার করে সিসি দেশের রাজনৈতিক পথপরিক্রমায় অটল থাকার অঙ্গীকার করেছেন। সংবিধান সংশোধন এবং ছয়মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে এগিয়ে চলবে যে প্রক্রিয়া।
মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা ‘দ্য ফ্রিডম এন্ড জাস্টিস পার্টি’র ডেপুটি চেয়ারম্যান এশাম এল-এরিন (এফজেপি) বলেছেন, সিসির হুমকিতে বিক্ষোভ- আন্দোলন থেমে যাবে না।
জেনারেল সিসি কে অভ্যুত্থানের নেতা আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন. সিসি নারী-শিশুসহ নিরীহ মানুষ হত্যা করছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।