রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা ও পুনর্বাসন এবং কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পর্যায় থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন বিচ্ছিন্নভাবে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। পোশাক মালিকদের সমিতি বিজিএমইএ ও সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা বলছেন, তাঁরা অর্থ পাচ্ছেন না। পুরো কর্মকাণ্ডে সমন্বয় নেই।
এ কারণে প্রতিশ্রুতির কতটুকু বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ১০০ দিন, প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়ন পরিস্থিতি’ নিয়ে আয়োজিত এক সংলাপ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলা হয়। সংলাপে ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসনসহ সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে একটি স্বাধীন তদারকি দল বা আলাদা কমিশনও গঠন করার সুপারিশ করা হয়। বক্তারা বলেন, অবশ্যই ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধি এ ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। কারণ শ্রমিকদের সঙ্গে শ্রমিকেরাই ভালো যোগাযোগ করতে পারেন।
একই সঙ্গে সংলাপে ভবনধসের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেন বক্তারা। তাঁরা আরও বলেন, সামরিক বাহিনীর মতো অল্প দরে শ্রমিকদের পুষ্টির ব্যবস্থা করতে হবে। তাতে বেতন বৃদ্ধির চেয়ে বেশি উপকার হবে।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান। প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।