https://www.facebook.com/blogger.sadril
সকাল ৯.৩০-এ বাসযোগে ঢাবি-এর ব্যানানা ভবণ (মতান্তরে কলা ভবন) গমন। ১১টায় বন্ধু ধ্রুব-এর আসিবার কথা, তাহার জন্যে ডিপার্টমেন্টের সেমিনার কক্ষে বসিয়া অপেক্ষার প্রহর গণন। বেলা ১২ ঘটিকায় ক্যাম্পাসে ধ্রুবর আগমন এবং দেরী করিবার কৈফয়ত বর্ধণ, “ফোনে কথা কহিতে কহিতে কার্জন হল হইতে শুরু করিয়াছিলাম হন্টন, আনমনা হইয়া শাহাবাগ গিয়া হইল ভুলের ভাঙন, অতঃপর পুনরায় করিতে হইয়াছে কলা ভবনের উদ্দেশ্যে হন্টন, ইহাই দেরী হইবার কারন”। ধ্রুবর দেরী লইয়া দৌড়াদৌড়ী না করিয়া বুয়েটে আমাদের জন্যে অপেক্ষারত আরেক বন্ধু বিভাসকে ফোনে স্মরণ এবং আরেকটু অপেক্ষার অনুরোধ জ্ঞাপণ। রিকষাযোগে ধ্রুবর সহিত বুয়েট গমন, ভুলক্রমে সম্মুখের গেইটের পরিবর্তে পেছনের গেইটে পদঃক্ষেপন।
পেছনের গেইট হইতে বুয়েটের সম্মুখের গেইট পর্যন্ত পদচারণ। সম্মুখের গেইটে বিভাসের দর্শন,তহার হল তিতুমির হল গমন। ক্যান্টিনে বসিয়া খানিকটা আহারকার্য সম্পাদন এবং কলেজ জীবনের স্মৃতিচারণ। খানিকবাদেই হল হইতে বহির্গমন, দরকষাকষিযোগে রিকষা ঠিককরণ এবং উহাতে চাপিয়া ঢাবি আন্তঃর্জাতিক বইমেলা গমন। বইমেলা হইবার স্থান ঢাবি খেলার মাঠে আসিয়া শ্রবন ‘দূপুর ২টা হইলো বইমেলা শুরু হইবার ক্ষণ’।
ব্যার্থ মনরোথে সেই ব্যানানা ভবণের-ই এদিক ওদিক ঘূর্ণন, অতঃপর পদব্রজে চারুকলা গমণ যেথায় চলিতেছিলো দূর্ণীতিবিরোধী কাটুর্ন প্রদর্শন। দূর্ণীতিবিরোধী কাটুর্ন প্রদর্শনীতে দর্শনী দিয়া আবার হাতবদল হইতে থাকা ভাংতি নোটের মতন ফিরতি ব্যানানা ভবণ। বটতলায় বসিয়া কিছুক্ষন আলাপ-আলোচন। বিভাসের প্রস্তাবে রিকষা ভ্রমণপূর্বক লাঞ্চ করিতে চাংখারপুল গমন, মামুন পোলাও ঘরে টেবিল দখল করিয়া মোরগ পোলাও ভক্ষণ। ভক্ষণ শেষে সৌজন্যবোধের চরম মাত্রা দেখাইয়া আমাকে আর ধ্রুবকে খাবারের বিল দেয়া হইতে বিভাসের বিরতকরণ এবং এককভাবে সকল বিল পরিশোধ করিয়া আতিথেয়তার অনন্য দৃষ্টান্তস্থাপন।
আবার রিকষা ভাড়াকরণ, উহাতে চড়িয়া পুনরায় ঢাবি আন্তঃর্জাতিক বইমেলাতে তিনজ়োড়া পদঃচ্ছাপ অঙ্কণ। শুরু করিলাম বইমেলার ষ্টল বাই ষ্টল পরিদর্শন। আকস্মিক এক ষ্টলে গন্ডগোল উত্থাপন, এক ক্রেতার দিকে বিক্রেতাদের অভিজোগ, ক্রেতাটি নাকি করিয়াছে বই লুন্ঠণ। ঢাবি এর ছাত্র বলিয়া দাবি করা সেই তরুন ক্রেতার বন্ধুদের আগমন, বাকবিতন্ডার হাতাহাতি রূপধারন, পুলিশের আগমন এবং খানিকক্ষন বাদে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রন। এইসব অগ্রাহ্য করিয়া বই দেখিতে দেখিতে এবং টুকটাক ক্রয় করিতে করিতে দুপূর পার হুইয়া বিকেল গড়ন।
বইমেলা হইতে বাইর হইয়া রাস্তায় দাড়াইয়া শেষ হইতে না চাওয়া আড্ডায় অংশগ্রহণ। বিদায়বেলায় আরও কিছুক্ষণ থাকিতে বিভাসের প্রস্তাবপেশকরণ, আমার আর ধ্রুবর অজুহাতদারকরণ “হইয়াছে অনেক পকেট কর্তন, এইবার করা যাক যার যার গন্তব্যে যাবার আয়োজন”। জানাইলাম পরস্পরকে বিদায় সম্ভাষণ, শেষ বিকেলের ডুবন্ত সূর্যকে সাক্ষ্ণী রাখিয়া অবশেষে গৃহে প্রত্যাবর্তন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।