জুলাই ১৭,'১৩ইং
বিপিপির ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের সময়টায় অন্য ক্যাম্পাসের এমন এমন অনেকের সাথে আমার দেখা হয়েছে যাদের সাথে জীবনে আর কোনদিনই দেখা হবে না বোধকরি। সেসময়কার কথা- আমি এরকম কয়েকজনের ব্রেকটাইমে গেলাম খেতে, একসাথে। তখন একেবারেই নতুন , হালাল হারাম সম্পর্কে শঙ্কিত আমি কিছু চিন্তায় পড়লাম- কি না কি খেতে হয়, সেফ সাইডে থাকার জন্য বললাম আমি নিরামিশি মানুষ, শাকপাতার কিছু হলেই হবে। দলের বাকিরা বেশ অবাক হয়েই তাকালো, 'শুধু ঘাসপাতা খেয়ে তুমি কিভাবে থাকতে পারো?'
ভিয়েতনামীজ ক্যান্ডি বললো, 'সে তো মাংসজাতীয় কিছু না খেয়ে একদিনও টিকতে পারবে না। '
মনে মনে ভাবলাম ,আমিও কি পারি নাকি? ও বস্তু পাতে না থাকলে তো আমারও খাবার গলা দিয়ে নামতে চায় না।
নেপালি ছেলে প্রেম , নামে হিন্দু মনে হলেও সে আসলে খ্রিষ্টান। খাবার দাবারের বেলায় তার অতি উদার মনোভাব। সে জানালো , সে সব খেতে পারে , স্বাদু হলেই হলো।
মজা করার জন্য বললাম,' তেলাপোকা হলেও কি খাবে?'
সে অম্লানবদনে জবাব দিল , 'যদি ভালো হয় , তবে কেন নয়?'
এখন বুঝি অন্তত বিলেতে এসে খাওয়া দাওয়া নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। হালাল খাবারের দোকানের ছড়াছড়ি চারিদিকে ।
ধর্মপ্রাণ যেকোন মানুষ এখানে আসলে অন্তত এই একটা বিষয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।
লন্ডনে আসার ঠিক আগে বাড়িতে এক বন্ধুর সাথে জম্পেশ আড্ডা হচ্ছিল। নানা হাসি তামাশার গল্পের পরে বিদায় নেবার আগে আগে সে একটু সিরিয়াস হয়ে আমাকে বলেছিল , 'ওখানে কিন্তু মুসলমানদের অনেক সমস্যা ও বিপদ হয়- সাবধানে থাকিস। '
এরকম যে হয় তা আমিও জানতাম কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিন্তু উল্টা ব্যাপার দেখেছি।
নাইন ইলেভেনের ঘটনাটার সময় বয়স কম ছিল, টিভিতে দেখা মর্মন্তুদ হামলার ঘটনাটা জগতের আরও অনেক করুন ঘটনার চেয়ে চোখে আলাদা কিছু হয়ে ধরা দেয় নি।
কিন্তু পুরো বিশ্ব আসলে ঐ ঘটনায় দুটি ভাগে ভাগ হয়ে গেছে চিরদিনের মতই- নাইন ইলেভেন পূর্ব ও পরবর্তী। কোন শান্তির বানী , সমঝোতা, বন্দুক ও বোমার সাধ্য নেই এই বিভেদরেখা মুছে দেয়। পেপারে নানা সময় পশ্চিমা দেশে দেশে মুসলিমদের হেনস্থার কথা পড়েছি তাই একটু চিন্তা তো ছিলই।
কিন্তু এখানে এসে টের পেয়েছি-সবক্ষেত্রে বিষয়টা একরকম না। আমাদের প্রতি অবিশ্বাসের বিষবাষ্পের পাশাপাশি অনেক ভালো ব্যাপারও এখানে আছে।
মুসলিমদের একটা স্রেফ আলাদা ধর্মধারী মানুষ হিসেবেই ভাবে-টেররিস্ট নয়, এরকম মানুষ ও সংগঠন এখনও আছে।
ধর্মের অনুসারীর গ্রাফ অনুযায়ী, সংখ্যাগতভাবে ইসলাম অবলম্বনকারীরা এখন এই দেশে নাকি দ্বিতীয় অবস্থানে। এবং এই সংখ্যাটা বাড়ছেই। প্রচুর নতুন নতুন মসজিদ হচ্ছে , তুলনায় নতুন চার্চ হবার কথা তেমন শোনা যায় না। টিভিতে ওগুলোর ফান্ডের জন্য বিজ্ঞাপনও খুব চোখে পড়ে।
হেজাব পরিহিত অনেক অনেক নারী স্বচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করছেন। হালাল খাবারের দোকানের প্রাচুর্যের কথাটা তো আগেই বলেছি।
আমাদের ক্যাম্পাসটা খুব ছোট। দুটা বিল্ডিং-এ ক্লাস হয়েছে আজতক, প্রত্যেকটাতেই একটা করে মিউচুয়াল প্রেয়ার রুম আছে, তাতে মুসলিম নামাজীরা নামাজ পড়ে নিয়মিতই। জুমার দিনগুলোতে আমার হিন্দু টিচারকে দেখেছি, যদি তার ক্লাসের দিন শুক্রবারে পড়ত- যিনি অবশ্যই মুসলিমদের এই ব্যাপারটা সম্পর্কে জানেন, তিনি ব্রেকটাইমের অ্যাডজাস্টমেন্ট করে নিতেন যাতে মুসলিমদের জুমা প্রেয়ারটা মিস না হয়।
তবে অনেকেই এই সুযোগটা কাজে লাগায় না, মানে জুমার নামাজটা আদায় করে না। এক বড় ভাই, নামটা বলছি না, বলেছিলেন, 'কতদিন যে জুমার নামাজ পড়া ছেড়েছি হিসাব নেই । '
রোজার মাসে কাজ করে অনেকরই এনার্জি থাকে না লম্বা দিনগুলোতে অনেকক্ষণ ধরে না খেয়ে থাকার। তাই রোজা মিস। কাজের ধান্ধায় ঘুরতে ঘুরতে একজনের সাথে পরিচয় হয়েছিল, উনি জানালেন একবার এরকমই এক রোজার দিনে বাড়িতে ফোন করলে মা জিজ্ঞেস করলেন ,
'বাবা, আজ রোজা রেখেছিস তো?'
উনি আমাকে বললেন, 'কি বলবো মাকে? এমন একটা উত্তর দিলাম যাতে হ্যাঁ না কিছুই বোঝায় না।
'
রোজার মাসে এখনও পর্যন্ত কাজে নামার ভাগ্য আমার হয়নি, তাই রোজার বিধান পালন করা আমার জন্য দেশ থেকেও সোজা। কিন্তু কাজ করেন এমন কয়েকজনের কাছ থেকেও শুনেছি, তাদের কাছে নাকি নিজ দেশের চেয়ে এখানে রোজা রাখতে বরং কমই কষ্ট হয়। অথচ এখানে রোজার সময়সীমাটা -প্রায় সতের /সাড়ে সতের ঘন্টা আমাদের অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশী। রহস্যটা আসলে আবহাওয়ায়। দেশে গরম অনেক বেশী, তাই রাখতে অনেক বেশী কষ্ট হয়, তিনটার দিকেই যেখানে পেটে ছুঁচোর দৌড় শুরু হয় এখানে সাতটা আটটাতেও অতটা ক্ষিদে পায় না।
তাই ফেবুতে বন্ধুরা সবাই রোজার টাইমিং জেনে আহা উহু করে বটে কিন্তু এত লম্বা সময়ে যত খারাপ লাগার কথা ছিল অতটা মোটেই লাগে না।
পর্দা -ব্যাপারটা পশ্চিমা অনেকের কাছেই আজব একটা বিষয়। শীতকালে এরাও যথেষ্ট কভারড থাকলেও গ্রীষ্মের ছবিটা পুরো উল্টা। তখন তো অত্যধিক গরমে রোদ উঠলে নারী - পুরুষ নির্বিশেষে প্রায় বস্ত্রহীন হয়ে পার্কে বসে থাকে অনেকেই।
মজার এক ঘটনা শুনলাম-এক হিজাব পড়া আন্টি , কাজ করেন বাইরে।
কাস্টমার এসে জিঞ্জাসা করলো,
'আচ্ছা তোমরা যে এভাবে নিজেদের কাপড়ে মুড়ে রাখ , তেমাদের গরম লাগে না? কষ্ট হয়না ?'
উনি জবাব দিলেন, 'আমরা এরকম নিজেদেরকে ঢেকে রাখি বলেই রোদ আমাদের গায়ে লাগে না- গরমও কম লাগে। আর তোমরা এরকম খোলামেলা ঘুরে বেড়াও -তাই তোমাদের চামড়ায় সরাসরি রোদ লাগে -তাই তোমাদের গরমও বেশী লাগে। '
এরকম সময় আমার আরেক আন্টি মন্তব্য করলেন, 'এরা এরকম বলেই আল্লাহ্ এখানে শীত দিয়েছেন বেশী, যাতে শীতের কারনে হলেও এরা একটু ঢেকেঢুকে থাকে'- যথার্থ মন্তব্য সন্দেহ নেই।
বিদেশ বিভূঁই-এ আসলে কিছু কিছু মানুষ ধর্মকে নিজ ভূমে থাকতে যতটা না রাখত তার চেয়েও অধিক মমতায় আঁকড়ে ধরে থাকে- যাতে এর কোন হানি না হয়। পরদেশে প্রতিকুল অবস্থায় পদস্থলনের শংকাটা বেশী তাই এদের ধর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তাটাও বেশী।
টিভি চ্যানেলগুলো এ বিষয়ক নানা প্রোগ্রামে ভর্তি। ধর্মপ্রাণ মানুষেরা বিভিন্ন ব্যাপারে হালাল হারামের মাসআলা জানতে চান । একদিন একজন জানতে চাইলেন,
'শূকরের মাংশ কর্মসূত্রে তাকে স্পর্শ করেতে হয়, এ ব্যাপারে ইসলাম কি বিধান দেয়?'
'এখানের বিখ্যাত চেইন শপ সেইন্সবারিতে অ্যালকোহলের বিশাল সমাহার , তাই ওতে কাজ করা কি হালাল কিনা?'
'দেশে যাওয়া আসার মাঝে সফরে রোজার বিধান?'-এসবও আলোচনায় উঠে আসে এসব অনুষ্ঠানে।
আবার অন্যদিকে কিছু কিছু মানুষ এখানে এসে পুরোপুরি বল্গাছাড়া হয়ে ওঠে। মদ খেয়ে টাল হয়ে থাকা এদের কাছে কোন অগৌরবের বিষয় নয়।
তারচেয়েও বড় কথা এটা তারা মহানন্দে অম্লান বদনে স্বদেশবাসীর কাছে বলে ফেলতে পারে। দীর্র্ঘদিনের সেচ্ছ্বাচারের কারনে এতে যে কোন চক্ষুলজ্জার ব্যাপার থাকতে পারে তাও সম্ভবত তাদের মনে হয় না। আমদের দেশে যে এসব হচ্ছে না তা না,ওখানেও শুরু হয়েছে, কিন্তু এটা এখনও আমাদের কাছে একটা জঘন্য অভ্যাস , কেউ ঢাকঢোল পিটিয়ে সহজ স্বাভাবিকভাবে এটা ঘোষনা দিয়ে বেড়ায় না।
তারপর আছে লিভটুগেদার ও এখানকার অন্যান্য আজেবাজে অভ্যাসগুলো -ছেলে মেয়ে দু-তরফেই। বলাই বাহুল্য এসব খবর দেশে যায় না, রক্ত পানি করা টাকায় যে অভিভাবকরা এখানে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা শিখিয়ে মানুষ করতে পাঠান তারা কতটুকু 'মানুষ ' হচ্ছে সে খবর তারা জানতে পারেন না।
তবে অনেক অনেক ব্যাতিক্রমও আছে অবশ্যই। কিন্তু কিছু কিছু খারাপের জন্য দোষের রটনাটা ও বাজে ধারনাটা সবার উপরই এসে পড়ে। একদিন আমকে চাচি বললেন,
' তুমি তো আমাদের সাথে থাকছো , একাকী না, তাই রক্ষা। জানো একা এখানে এসে যেসব মেয়ে থাকছে তাদেরকে মানুষ খুব বাজে মেয়ে বলে মনে করে। কারনও আছে- কিছু কিছু মেয়ে এখানে এসে অকল্পনীয়ভাবে বখে যায়।
' কেসটা ছেলেদের ক্ষেত্রেও খাটে। তাই বোধকরি এখন বিদেশ ফেরত ছেলে শুনলেই মেয়ের অভিভাবকেরা মহানন্দে দ্বিগবিদ্বিক আগের মত জ্ঞান হারা হয়ে যান না- বরং বিস্তর খানাতল্লাশি করেন-
' ছেলে আবার বিদেশে গিয়ে আরেকটা বিয়ে করে আসেনি ত?'
টিভিতে বাংলা চ্যানেলগুলোয় ধর্ম বিযয়ক অনুষ্ঠান যেমন আছে , তেমনই আছে অফ লাইসেন্স রেস্তোরা কিভাবে চালাতে হবে , তার নিয়মাবলী -এসবের ট্রেনিং দেয়া জায়গাগুলোর বিজ্ঞাপন। এখানের বিভিন্ন দোকানের সামনেও লেখা দেখেছি "অফ লাইসেন্স"। গোড়াতে তো শব্দটার মানে বুঝতাম না, পরে জানলাম ওটা হলো সেইসব জায়গা যাতে অ্যালকোহল জাতীয় তরলগুলোর বিক্রি ও বাইরে নিয়ে যাওয়া(টেক অ্যাওয়ে) অনুমোদন আছে। টিভি বিঞ্জাপনে দেখা ট্রেনিংসেন্টারে সোজা ভাষায় মদ বিক্রির অনুমতি ও পাওয়ার পর্রবর্তী কাজ পরিচালনা -এইসব আমাদের বাঙালি ভাইদের শিখানো হচ্ছে।
মুসলিমদের সম্পর্কে চাপা ভীতি কারোর কারোর মাঝে থাকলেও-টেররিস্ট ভেবে সন্দেহ তো আছেই -না হলে এত খবর আসে কোথ্থেকে? কিন্তু মোটের উপর সাধারন ভাবে পরিবেশ খুব খারাপ না। ওয়েট্রোজে কাজ করা একজন জানালেন,
'তার ওখানে সাদা বেশী, তারা রোজার মাসে খোঁজখবর নেয়, ঈদের সময় ছুটি চাইলেই মেলে। মোটের উপর- তার কথা ,পরিবেশ যথেষ্ট মুসলিম বান্ধব, প্রত্যেকের ধর্মগত পার্থক্যকে ওরা গুরুত্ব ও মর্যাদার সাথেই দেখে। 'এই চিত্র কিন্তু অনেক জায়গাতেই। খোদ হিথ্রো এয়ারপোর্টে পা রেখেই আপনি প্রয়োজন হলেও ওটার ভেতরে অবস্থিত সুন্দর প্রার্থনাকক্ষে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক পৃথক ব্যবস্থ। পরবর্তীতে চাকরিতে আবেদন করার সময়কালেও একটা বিখ্যাত সংস্থায় দেখলাম ,মুসলিমদের ওদের ওখানে দৈনিক প্রার্থনার সুব্যবস্থা আছে।
মোটমাট সাধারন ভাবে এটা বলা যায়- কেউ যদি এখানে ভালো থাকতে চায় ত থাকতে পারে আর অন্যরাস্তায় যাবার পথও একইরকম প্রশস্ত। বিলেত গেলেই জাতিনাশ- হিন্দুশাস্ত্রকারের এই কথাটা এখন কোন ধর্মের লোকের ক্ষেত্রেই খাটে না।
সামনে ঈদ আসছে- আমার এলাকাটায় মুসলিম প্রচুর -তাই আমাদের ফাস্টের ব্যাপারটা এখানে অন্যরাও অনেকেই জানে।
ভারতীয় মেয়ে দেবীকা আমাদের এই নিয়মের কথা জেনে বলল,
'ওটা কখন ভাংতে হয় তা তোমরা কিভাবে বোঝ?'
মাগরিবের ব্যাপারটা সে জানে না, তাকে বললাম,' সূর্যাস্তের সময়কালের সাথে মিলিয়ে আমরা আমাদের উপবাস ভাঙি। '
সে প্রশ্ন করলো , 'যদি কোনদিন আকাশ মেঘলা থাকে?'
'মেঘ থাকলেও সূর্যাস্তের একটা ঠিকঠাক সময় তো থাকেই,ঐটাই আমদের রোজা ভাঙার কাল। '
এখানের দোকানপাটগুলো পাঁচ -সাড়ে পাঁচে এমনিতেই বন্ধ হয়ে যায়, রোজার মাসে তো আরও জনশূন্য অবস্থা।
ঈদের দিনটা যেমন যেমন কাছিয়ে আসছে বাংলাদেশের শপিং -এ, নানা পদের ইফতারিতে, এক ভাবগম্ভীর পবিত্র আবহে ভরা গমগমে দিনগুলোর কথা আরও বেশী করে মনে আসছে। দেশে এই মাসটাতে সারা মাস নামাজের-ধর্মকর্মের সাথে সম্পর্ক নেই এমন এমন মানুষগুলোও অনিবার্য পরকালের কথা মনে করে একটু হলেও শুধরে যায়।
এখানে রোজা -ঈদ কোনদিক দিয়ে আসে -যায় তার খবর নেই। আমার বান্ধবী শিরিন -ও এখানে এসেছে আমার অনেক আগে,পুরানো দিনের কথা মনে করে বললো,
সে একবার ইচ্ছে করে ঈদের দিনে কাজ নিয়েছিল-ইচ্ছে করলে সে ঐদিন ছুটি নিয়ে অনায়াসে বাড়িতে বসে থাকতেই পারতো।
'বাড়িতে বসে খামাখা কি করবো? '
আমার স্টাডি শিডি্উল দেখাচ্ছে একাধিক ঈদ পরিবারের বাইরে কাটানোর শঙ্কা-তার পরেও ঈদগুলোতে -নিজের বাড়ির জন্য স্মৃতিকাতরতাটুকু ছাড়া আমার সম্ভবত কপাল ওর মত মন্দ হবে না- জ্ঞাতিগুষ্টি ও বন্ধু বান্ধবের ভরসায় একটা চলনসই ভালো দিনের আশা আছে।
সামনে ঈদ -দেশের মাটিতে জমজমাট আয়োজনের তাপটা এখানে বসে বসে নেটের কল্যাণে ভালোই টের পাচ্ছি- কোন ফ্যাশন এলো গেল , কি কি এবারের নতুন ট্রেন্ড, সাথে দেশের গরমাগরম রাজনৈতিক অবস্থা তো আছেই। তারপরও আশা ও কামনা দেশে বিদেশে সকল মুসলিম ভাইদের জন্য প্রতিটি ঈদ কিছু বাড়তি আনন্দ নিয়ে আসুক।
বিঃদ্রঃ লেখাটা পোষ্ট মারতে দেরী করে ফেলেছি, এখন ঈদ বাসী হয়ে গেছে, লেখাটাও 'সেকেলে' হয়ে পুরনো পত্রিকার মতই ভাবমূর্তি হারিয়েছে। তাই শেষের মেসেজটা একটু বদলে দিলাম- সবাইকে বিলম্বিত ঈদ শুভেচ্ছা, আসন্ন ঈদ পরবর্তী দিন গুলো যেন সবার ভালো কাটে। রাজনৈতিক ক্ষমতামাতাল কেউই যেন আমার দেশকে কোন বিপর্যয়, কোন সমস্যার মুখে ঠেলে না দেয় -যেমনটি দিয়েছে ঈদের পরপর চুড়ান্ত অবিবেচক হরতাল। হতাশা যতই ঘিরে ধরুক না কেন - আশা নিয়েই বেঁচে থাকা , পথচলা- কোন না কোন একদিন-হবে সে-ই-দি-ন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।