আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বর্গের কাহিনী

একজন সুখী মানুষ

হিন্দুদের স্বর্গের কাহিনী নিম্নরূপ: মেরু প্রদেশে পবিত্র পাবত্য অঞ্চলে সূর্যের স্বর্ণরশ্মি আবৃত স্থানের সু-উচ্চ শিখরে স্বর্গ অবস্থিত সেখানে কোন পৃথিবীর স্থান ছিলনা। এস্বর্গদ্বারে পাহারা দিত ভীমরূপী ড্রাগন। স্বগীয় বৃক্ষ ও গুল্মলতার বেষ্টনে এই স্বর্গোদ্যান সুশোভিত। চারিট নদী বয়ে যেতো চার দিকে; যেথানে সেই এই নদীর শাখা চার দিকে বয়ে চলে গেছে। আদি পুস্তকের (Genesis) বর্ণনাতে আছে এডেন উদ্যানকে পাহারা দিত চেরুবিম-যাদের এঞ্জেল(দেবদূত) বলে মনে হতো।

কিন্তু অধুনা এক লেখক বলেছেন যে চেরাব এঞ্জেল ছিল না, ছিল পশু। কিম্বদন্তি জানোয়ার চেরাবের দেহ ছিল সিংহের। সময় সময় মাতা অন্য পশুর হয়ে যেত, আবার মানুষের মত মাথা হত। আর ছিল পক্ষীর মত পাখা-অর্থাৎ উড়াল েদয়ার মত ডানা। চেরাব আসলে ছিল ড্রাগন, এডেন উদ্যান পাহারা দিত।

দার্শনিক ধর্মবিদ ওরিজেন বিশ্বাস করতেন, এবং যা এখন সকলেই স্বীকার করেনম, যে এডেন উদ্যান, এলিসিয়ান ফিল্ডস, যেখানে সাধু বা সৎ ব্যক্তিদের থাকার বন্দোবস্ত রাখার যেসব কল্প-কাহিনী--যেখানে কোন দুঃখ-কষ্ট নেই। রোগ-বালাই নেই----- সবই রূপক কাহিনী, বাস্তবে ফাঁকা। এইসব সুখকর স্থান গুলো পশ্চিমের দূর প্রান্তে বা দিগন্তে যেখানে সূর্য অস্ত যায়। এই সসব স্থানকে স্বর্ণ-দ্বীপ বলা যেতে পারে---সাগরের নীলজলরাশি পার হয়ে যেখানে পৌঁছানো যায়_উপড়ে রং করা মেঘ খন্ড খন্ড হয়ে ভেসে বেড়ায়। অন্য কথায় এলিসিয়ান ফিল্ডস ভাটার সময় সাগরের বেলাভুমিতে যে মেঘমালার বিচরণ হয়-এই ছবিটির আঙ্গিক অনুমিত হয়েছে সাগরতীরে সূর্যাস্তের পর সন্ধ্যার চন্দ্রালোকের যার দৃশ্যের অবতারণা হয়।

(দেখুন: এরিয়ান সান-মাইথ, দ্য অরিজিন অব রিলিজিয়নস্)

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।