আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিউলি ঝরা দিন গুলি মোর

ভালবাসা মানে অন্যের ভালত্বে বাস করা

চেনা ফুলের গন্ধস্রোতে ফাগুন-রাতের অন্ধকারে চিত্তে আমার ভাসিয়ে আনে নিত্যকালের অচেনারে॥ একদা কোন্‌ কিশোর-বেলায় চেনা চোখের মিলন-মেলায় সেই তো খেলা করেছিল কান্নাহাসির ধারে ধারে॥ কবি গুরু র কবিতা যেন জীবন এর প্রতি প্রতি পরতে পরতে হয়ে আছে নিত্তসঙ্গি আমাদের জীবন........অনেক স্মৃতির সমষ্টি জীবন এই একা বাকা পথ এ চলতে চলতে ক্লান্ত আমি........আজ মন এ হয় যদি ফিরে পেতাম আমার হারানো ছেলে বেলা কে............মাঝে মাঝে আয়নায় নিজেক দেখে চমকে উঠি...........ভাবি একই সেই আমি........ সেই ছোট বেলায় দু বেনি দু পাশে দুলছে চোখে রাজ্যের কৌতহল নিয়ে তাকিয়ে সুদুর পানে............ অনেক কিছু ভাবতাম.........কত কি আজ সে সব মন এ হলে হাসি পায়............ আমার বাবা একজন খ্যাতনামা ইন্গিনিয়ার ছিলেন...............অনেক বড় পোস্ট এ ছিলেন..............তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড এ ছিলেন........প্রায় সাইটে এ যেতেন তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ এমন কি..........পাশের দেশ ইন্ডিয়ায় ও গেছেন কয়েকবার সেই বাবা আমার খুব আদর করতেন................আমাকে আর আমিও সেই সুযোগে ঘুরে বেড়াতাম.....................আজ মন এ পড়লে হাসি পায় কোনো এক দিন আমি বছর সাতেক বয়স বাবা যাচ্ছেন টুর এ আমি যাব বলে বায়না ধরলাম....আমরা তখন খুলনায় ......মা তো কিছুতেই দেবেন না কারণ....... এত টুকু আমাকে কে দেখবে............বাবা যাবেন..সুন্দরবন........তাদের নিজেদের লন্চ এ.............আমি তো যাবই.........আমর বিরাম হীন কান্নায় মা থাকতে না পেরে রাজি হলেন..........তবে একা নয় আমার মামা ও যাবেন.....আমার ভাই ও যাবে. কতটুকু আমি..........কিন্তূ ভীষণ ভালবাসতাম প্রকিতিকে...............অত টুকু বয়সে........... তার পর নির্দিষ্ট দিন এ লঞ্চে উঠলাম.........উফ কি যে মজা.............বিরাম হীন লন্চ চলছে..........কখনো বন কখনো...ছোট খাল কখনো নদীর মাঝ দিয়ে...............মামা ছিলেন পাহারায়.............আমি একা দেকে উঠলেই তিনি গিয়ে দাড়াতেন নিয়ে আসতে চাইতেন কিন্তূ আমি...........তো আমি নদী দেখতাম.............তখন এত ছোট কোনো নদীর নাম মন এ নেই...........আমরা থেমে ছিলাম হিরণ পয়েন্ট কাটকা কারণ বাবার গন্তব্য আরো ভেতরে.....আর দুবলার চর আসতে সবাই নাক এ রুমাল কিন্তূ আমি অবাক হয়ে দেখছিলাম জেলেদের জীবন ওদের শুটকি রদ এ দেয়া .......খুব মজা পেয়েছিলাম.........হরিন দের পানি খাওয়া দেখে........ দেখে........ কত যে গাছে.সেই গোল পাতা.সেগুন আরো হরেক রকম গাছ............. মজা তা হলো আমরা তিন দিন লন্চ এ............রাত এ মামা গল্প বলতেন আমি আর আমার ভাই তন্ময় হয়ে শুনতাম.......... একদিন শোনাচ্ছিলেন...........সেই গল্প টা রাজ পুত্তর কি করে ঢিল ফেলে দৈত্যের ঘুম ভাঙালো..............রাজকন্যা কে পাওয়ার জন্য তখন রাত লন্চ ছুটে চলেছে ........নদীর মাঝ দিয়ে ..........টুক টুক শব্দ............আমার মন এ হলো সত্তি বুঝি..........সকাল এ উঠে কোথায় ভয়.............এক দৌড় এ ডেকে নীল আকাশ দেখছি.তো নদী দেখছি....................আজ সেই আমি টা অনেক বড়.............অনেক বড় একজন ডাক্তার এই সেদিন ঘুরে এলাম সুন্দরবন কিন্তূ সেই আনন্দ সত্তি পেলাম না............. হিরণ পয়েন্ট এ নামলাম.........রয়েল বেঙ্গল টাইগার খুজলাম....এখন বাঘ খুব একটা দেখা যায় না ..........দেখলাম অনেক হরিন............অনেক পাখি.......... সেই ফরেস্ট বাংলোয় বসলাম মন এ হলো সেই ছোট্ট আমি টা যেন এখনো কি খুঁজে বেড়ায় একাকী হাটলাম..........সেই বন পথ এ.......বুনো গন্ধে মন ভরে গেল............ গাইতে ইচ্ছা হলো বনতল ফুলে ফুলে ঢাকা,,,,,,,,,,,,,, হেমন্তের সেই গান টা......... এখন..........দুবলার চর এলে নাকে আচল চাপি.........অথচ ও আমি তখন এখান থেকে নড়িনি পর্যন্ত.......... আমি বাংলাদেশী এ দেশে জন্ম নিয়ে নিজেক ভাগ্যবতী মন এ করি............. আজ মন কেমন করলে..........ছুটে যাই.......সেই সব জায়গায় ঘন অরণ্য বা নদীর তীর বা সবুজ মাঠ ......আর সেই দারুচিনি দ্বীপ এ............বড্ড মন কেমন করে............... আমি ভালবাসি আমার এই বাংলা কে.............আমার জননী জন্ম ভূমি.......... ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা..... তোমাতে বিশ্বময়ীর, তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা॥ তুমি মিশেছ মোর দেহের সনে, তুমি মিলেছ মোর প্রাণে মনে, তোমার ঐ শ্যামলবরন কোমল মূর্তি মর্মে গাঁথা॥ ওগো মা, তোমার কোলে জনম আমার, মরণ তোমার বুকে। .............. কবি গুর যেন আমার দেশের জন্য শুধু লিখে গেছেন এই গান টা.................

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।