যে কোন লড়াই শেষ পর্যন্ত লড়তে পছন্দ করি।
জোরদার হোক, সম্প্রসারিত হোক এই গ্রেপ্তার অভিযান
আজ গ্রেপ্তার হয়েছে কাদের মোল্লা এবং কামরুজ্জামান।
এই গ্রেপ্তার অভিযানে মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের "সামাজিক মর্যাদা", "আন্তর্জাতিক সম্পর্ক" এবং "ক্ষমতা" সম্পর্কে যে মিথ তারা চালু করেছিল তা ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাচ্ছে। "তারা সহজে গ্রেপ্তার হয়না", "তাদের গ্রেপ্তার করা সহজ না", "তাদের গ্রেপ্তার করলে দেশে আগুন জ্বলে যাবে", "তাদের ষ্ট্রং আন্তর্জাতিক কানেকশন আছে, গ্রেপ্তার করলে সরকার বিপদে পড়বে"-----এইসব মিথ তারা সব সময় প্রচার করেছে।
তাদের প্রচলিত এইসব মিথের পক্ষে উদাহরণ হিসেবে তারা তুলে ধরেছে, রাজাকারিত্ব বা যুদ্ধাপরাধের কারণে তাদের নেতাদের কেউ কিছু করতে পারেনি, পারবেও না(?)।
তারা রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ব্যবসা, বাণিজ্য সব কিছুতে এগিয়ে থেকেছে। খুনের পর খুন করেও শিবির নেতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছে। হামলা, আক্রমন, সন্ত্রাসী কাজে তারা অধিকাংশ সময় পুলিশ ও সরকারের সাপোর্ট পেয়েছে। তারা ধর্মীয় নেতা সেজে ওয়াজ মাহফিল আর তফসিরের নামে সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে সম্মান ও মর্যাদা আদায় করেছে।
আর এইসব মিথের কারণে অনেক সাধারণ ছাত্র বিভ্রান্ত হয়ে শিবিরে যোগ দিয়েছে।
বিভ্রান্ত হয়ে সাধারণ ধর্মভীরু মানুষ জামাতের কর্মী সমর্থক হয়েছে।
চলমান গ্রেপ্তার অভিযান, এই সব মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের সম্পর্কে প্রচলিত মিথ গুলিকে ভেঙ্গে খান খান করে ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছে। এর একটি দারুন ইমপ্যাক্ট আছে এবং সেটা হতেই হবে। অনেক সাধারণ ছাত্র ও ধর্মভীরু নিরীহ মানুষের বিভ্রান্তি কেটে যাবে। তারা জানবে এবং বিশ্বাস করবে যে, এরা অপরাধী, এরা দেশ এবং স্বাধীনতার শত্রু, এদের বিরুদ্ধে খুন ধর্ষণের মামলা আছে, এরা ধার্মিক নয়, একান্তই ভেক ধারী।
আর পাঁচজন অপরাধীর মত এরা যখন তখন গ্রেপ্তার হয়, জেলে যায়।
এই গ্রেপ্তার অভিযান আরও সম্প্রসারিত হওয়া উচিৎ। যারা যুদ্ধাপরাধী হয়ে বিগ টক করে, তাদের আগে প্রেপ্তার করা উচিৎ। মিথ্যা কোন মামলা না দিয়ে যদি শুধু এদের প্রকৃত অপরাধ খুজে বের করা যায়, তাহলে সত্য মামলাতেই তাদের কাঁথা-বালিশ নিয়ে আদালতের বারান্দায় পড়ে থাকতে হবে।
আর একটি কথা।
অতীতে এরা অনেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল, তাদের বাড়ী থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল, কিন্তু মামলা হয়নি বা সেই সময়কার সরকার মামলা থেকে তাদের বেআইনী ভাবে ছেড়ে দিয়েছিল। সেই সব মামলা পুনরুজ্জীবিত করে আইনের আমলে আনা উচিৎ, তাদের বিচার করা উচিৎ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।