প্রশ্ন করেই যাব অবিরত
তখন আমি ছোট – বয়স চার কিংবা পাঁচ। আমাদের গ্রামের বাড়িতে বনবিড়াল, শেয়াল এগুলোর উৎপাত ছিল। অবশেষে সবাই বিরক্ত হয়ে একটা ভালো ফাঁদ কিনে নিয়ে আসলেন। ফাঁদটিতে একটা মুরগীর বাচ্ছা ঢুকিয়ে রাখা হত আর ওটা ধরার জন্য বনবিড়াল ঢুকলেই মুখ বন্ধ হয়ে যেত। বনবিড়াল প্রচুর ধরা পড়ত কিন্তু শেয়াল কখনো ধরা পড়ত না- কারণ একটাই, শেয়ালের বুদ্ধি।
এভাবেই চলছিলো কিন্তু হঠাৎ একদিন মারাত্মক অঘটনটি ঘটে গেল – একটা শেয়াল ফাঁদে ধরা পড়ল। কেনো ওটা ফাঁদে ধরা পড়ল তার সমাধান বহু কষ্টে পরে বের করেছিলাম –শেয়ালটি খুব ক্ষুধার্ত ছিল আর অতি ক্ষুধায় বুদ্ধি নাশ! যাই হোক শেয়াল ধরা পড়ায় আমরা খুব আনন্দিত, একটা উৎসবের আমেজ চারদিকে –ছোটরা হৈ চৈ করে বাড়িময় ঘুরে বেড়াচ্ছি। সবশেষে শেয়াল মারার পালা। ওটাকে একটা বস্তায় ঢুকিয়ে পেটানো শুরু হল। সামান্য পেটানোর পরই শেয়াল নিস্তেজ, নড়া-চড়া নেই, মারা গেছে।
শেয়ালটাকে বস্তা থেকে বের করা হল- হ্যা ও মারা গেছে। এদিকে আমরা ছোটরা এর চারদিকে লাফিয়ে বেড়াচ্ছি। সবাই অভিশাপ দিয়ে শেয়ালের কুকর্মের বিবরণ দিচ্ছিলেন। হঠাৎ কি হল জানেন – শেয়ালটা উঠে দিলো লাফ, কিছু না বুঝতেই শেয়ালটা পালিয়ে গেল। আমি অবাক, শেয়ালটা আসন্ন নিশ্চিত মৃত্যুর সময়ও বুদ্ধি হারায় নি, সে শপথ নিয়েছিল- তাকে যতই পেটানো হোক না কেনো সে নড়াচড়া করবেনা, এতে অল্প পেটানোর পর সবাই মনে করবে সে মারা গেছে আর তারপর...।
এমন বুদ্ধি কয়জন মানুষের আছে আর তা থাকলেও এধরণের বিপদে কয়জন তা কাজে লাগাতে পারবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।