আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাল তদন্ত প্রতিবেদন জমা হবে দুদকে

সোনালী ব্যাংকের ঋণের নামে দুই হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা জালিয়াতির ঘটনায় নতুন আসামি করা হচ্ছে ১২ জনকে। এদের মধ্যে ব্যাংকটির কর্মকর্তারা ছাড়াও রয়েছেন ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের একজন পরিচালক। এ নিয়ে আসামিদের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৩৯ জন। আগামীকাল হলমার্কের ঋণ জালিয়াতির তদন্ত প্রতিবেদক দুদকে জমা দেওয়া হবে।

জানা গেছে, নতুন ১২ জনের নাম হলমার্ক এমডি তানভীর মাহমুদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির ভিত্তিতে বেরিয়ে এসেছে। তিনি সোনালী ব্যাংকের পরিচালকসহ ২০ কর্মকর্তাকে ১২ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন। এ ছাড়া রূপসী বাংলা হোটেলের উল্টো দিকে শাহবাগ মোড়ের কাছে ইউরেকা প্যালেস নামে বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে এই ঋণ জালিয়াতের ঘটনা ঘটানো হয়। জালিয়াতির জন্য সেখানে ব্যাংকটির বিকল্প শাখা খোলা হয়। রাতে হলমার্ক ও সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দফায় দফায় বৈঠক চলত সেখানে। সেখান থেকেই পরিকল্পনা করে হাতিয়ে নেওয়া হয় সোনালী ব্যাংকের দুই হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সূত্র জানায়, তানভীরের জবানবন্দিতে এমন ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যাদের তিনি ঘুষ দেন। তারা হলেন_ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক সাইমুম সরওয়ার কমল, সাবেক এমডি হুমায়ুন কবীর, সাবেক ডিএমডি আতিকুর রহমান, সাবেক জিএম মীর মহিদুর রহমান, সরওয়ার কমল, সাবেক এমডি হুমায়ুন কবীর, সাবেক ডিএমডি আতিকুর রহমান, সাবেক জিএম মীর মহিদুর রহমান, সাবেক ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন, সাবেক ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমদ, রূপসী বাংলা হোটেল শাখার সাবেক ডিজিএম একেএম আজিজুর রহমান, সাবেক এজিএম সাইফুল হাসান, সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন। ব্যাংকের নীতি-নির্ধারণী পর্যায় ঠিক রাখতে পরিচালককে ঘুষ দিতে হয়েছে বলে তানভীর জবানবন্দিতে জানান। এ ছাড়া ঋণের নামে নিজের ইচ্ছামতো টাকা তুলে নিতে রূপসী বাংলা শাখার তিনজন, ঢাকার জিএম কার্যালয়ের দুজন, প্রধান কার্যালয়ের চারজনকে ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করেন তানভীর।

তাদের কাউকে কখনো ৫ লাখ, ১০ লাখ, ২০ লাখ, এমন কি ৫০ লাখ টাকা করে ঘুষ দিতে হয়েছে তাকে। আবার মাসোহারা হিসেবেও টাকা দিতে হয়েছে তাদের। ব্যাংকের ১০ কর্মকর্তার মধ্যে প্রতিজনকে কমবেশি ১ কোটি টাকা করে ঘুষ দিয়েছেন। একজন পরিচালিকসহ ১০ জনকে সর্বসাকুল্যে ১২ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে আট সদস্যের তদন্ত টিম ১১ মামলার অভিযোগ তদন্ত শেষ করেন।

সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত ব্যাংকের চার কর্মকর্তা একেএম আজিজুর রহমান, মীর মহিদুর রহমান, শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজ উদ্দিন আহমদ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হলমার্ককে অবৈধ সুবিধা দিয়ে ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তদন্ত টিম তাদের স্বীকারোক্তির বক্তব্য ও জালিয়াতিতে সহায়তা করার প্রমাণ পেয়েছে। সোনালী ব্যাংকের ২ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির দায়ে হলমার্কের এমডি তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী জেসমিন ইসলাম ও সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবিরসহ ২৭ জনকে আসামি করে গত বছরের ৪ অক্টোবর ১১টি মামলা করে দুদক।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.