আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার সীমাবদ্ধতা



শুভ, আমার বন্ধু। কয়েকদিন আগে সিলেটের জাফলং থেকে ঘুরে এসেছে। তার কাছে শুনছিলাম জাফলং এর সৌন্দর্যের বর্ণনা। - দুই পাহাড়ের মাঝ থেকে একটা সরু নদী বেড়িয়ে এসেই ঢুকে পরেছে বাংলাদেশের সীমানায়। আর বাংলাদেশের সীমানাটা হচ্ছে পাহাড়েরর প্রান্ত ঘেষে।

তাই বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকেই নদীটা দুই পাশের পাহাড়ের দেয়াল ঘেরা বন্দিত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছে। এই মুক্তির আনন্দেই যেন ছড়িয়ে পরেছে দুই দিকে। ফলে পাহাড় থেকে বয়ে আনা পাথরগুলো সব বাংলাদেশের সীমানায় এসেই স্রতহীন প্রসস্ত নদীর তলে জমে যায়। শত শত নৌকায় হাজার হাজার মানুষ সেই পাথর তোলায় কাজে ব্যাস্ত থাকে সারা দিন। - আমরা নদীতে নেমে একেবারে সীমানার কাছে পর্যন্ত গিয়েছিলাম।

নদীর পানি যেই ঠান্ডা, মানে হয় যেন একটু আগেই বরফ গলে নেমে এসেছে। - এদিকের পাহাড়েরর উপর থেকে সীমানার ওপারের শহরটাকে ঠিক যেন সবুজের পটভুমিতে আঁকা ছবিরমত মনে হয়। আরো কত কত উচ্ছসিত বর্ণনা। আমি মনোযোগ দিয়ে শুনি আর কল্পনায় ছবিগুলো আঁকার চেস্টা করি। হঠাৎ অনুভব করি আসলে আমি কিছুই কল্পনা করতে পারছি না।

আমি পাহাড়ের কথা কল্পনা করতে গিয়ে চট্টগ্রামে দেখা পাহাড় এসে যায়, নদীর কথা ভাবলে চেখের সামনে ভেসে ওঠে বুড়িগংগার কাল জল। শুভোর বর্ণনাকে অনুভব করা কিছুতেই সম্ভব হয় না। আসলেই আমাদের অনুভুতি শেয়ার করার মাধ্যম কত দুর্বল। ভাষার বর্ণনা দিয়ে, বা কাগজে লিখে আনন্দ, কস্ট, সৌন্দর্য, দু:খ, বেদনা বা অন্যকোন অনুভুতির কতটুকু বর্ণনা করা যায়? আর যে শোনে বা পড়ে সেইবা কতটুকু বুঝতে পারে? আমরা কি কোনদিন এমন কিছুর সন্ধান পাব যার মাধ্যমে কম্পিউটারে ফাইল কপি করারমত একজনের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, অনুভুতি অন্যজন হুবহু অনুধাবন করতে পারবে???

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।