“সত্যি সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ”-বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উক্তটি যথার্থ। এই দেশে প্রতিনিয়ত এমন সব বিচিত্র ঘটনা হরহামেশায় ঘটছে যা এই উক্তিটির যথার্থতাই প্রমান করছে। এই সকল বিচিত্র ঘটনারবলীর জনক রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, পেশাজীবি, খেলক, সাংস্কৃতিককর্মী, রসু খাঁ সব্বাই। হালে চট্টগ্রামের গোলাম রাব্বানী এতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা নন।
কোনো অপরাধে গ্রেপ্তারও হননি। অথচ তাঁর মুক্তির দাবিতে পোস্টার ছাপিয়ে রাখা হয়েছে আগেভাগেই। গ্রেপ্তার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সহযোগীরা এই পোস্টার নগরের বিভিন্ন দেয়ালে সাঁটানোর পরিকল্পনা করেছিল বলে জানা যায়।
এই তিনি হলেন কাজী গোলাম রাব্বানী। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, গোলাম রাব্বানী একটি সংঘবদ্ধ মোবাইল চোর চক্রের সঙ্গে জড়িত।
গ্রেপ্তারের জন্য এখন তাঁকে খুঁজছে পুলিশ। চট্টগ্রাম আদালতের এক আইনজীবীর সহকারী পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে বলা হয়, রাব্বানী নিজের মোবাইল ফোন (০১৮২৩৯২২২০৮) থেকে আওয়ামী লীগের সাংসদ নুরুল ইসলামকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ নিয়ে খুলশী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। সাংসদকে হুমকি দিয়ে রাব্বানী নিশ্চিত ছিলেন যে গ্রেপ্তার হলেই তাঁকে কারাগারে যেতে হবে।
তাই আগেভাগে এত আয়োজন। জিডিতে দেওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে খুলশী থানার পুলিশ নিশ্চিত হয় যে রাব্বানীর ফোন থেকে সাংসদ নুরুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। খুলশী থানার পুলিশের একটি দল গত শনিবার রাতে বাকলিয়া থানা এলাকার সোবাইন্যার কলোনিতে তাঁর বাসায় অভিযান চালায়। এই অভিযানের খবর আগেই জানতে পেরে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে সরে পড়েন রাব্বানী। তবে পুলিশ তাঁর ঘরের খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করে প্রায় এক হাজার রঙিন পোস্টার, যাতে রাব্বানীর মুক্তি দাবি করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সাংসদ নুরুল ইসলামের জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাব্বানী নিশ্চিত ছিলেন যে সাংসদের জিডির পর তিনি গ্রেপ্তার হবেন। এ কারণে তিনি আগেভাগে পোস্টার ছাপিয়ে রেখেছেন বলে আমাদের সন্দেহ। ’ তিনি বলেন, ‘এই রঙিন পোস্টার ছাপানোর মতো আর্থিক সামর্থ্য রাব্বানীর আছে। কারণ তিনি একটি মোবাইল চোর চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে আমাদের কাছে তথ্য-প্রমাণ আছে। ’ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাব্বানীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা পোস্টারে তাঁকে আইন বিভাগের ছাত্র ও সাবেক ছাত্রনেতা আখ্যায়িত করে লেখা হয় ‘রাব্বানী ভাইয়ের নিঃশর্ত মুক্তি চাই এবং ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন।
প্রচারে ল স্টুডেন্ট ফোরাম, চট্টগ্রাম মহানগর। ’
আইন কলেজ সংসদ সূত্রে জানা গেছে, আইন কলেজে ছাত্রশিবিরের সমর্থিত ইসলামি ল স্টুডেন্ট ফোরাম রয়েছে। শুধু ‘ল স্টুডেন্ট ফোরাম’ নামে কোনো সংগঠন নেই।
সূত্র ঃ প্রথম আলো
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।