আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সব সম্ভবের েদশ বাংলাদেশ....................................



শিক্ষাগত যোগ্যতার ভুয়া সনদ দিয়ে চাকরি করার অভিযোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাকে রোববার সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "মন্ত্রণালয়ের ট্রেড অর্গানাইজেশন-২ (টিও) শাখার কর্মকর্তা মো. মোক্তার আলী হাওলাদারের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদে চাকরি করার অভিযোগ ওঠার পর গত ১৩ ডিসেম্বর তাকে সাতদিনের মধ্যে এসএসসি'র মূল সনদপত্র জমা দিতে বলা হয়। " কিন্তু ওই কর্মকর্তা তা দিতে ব্যর্থ হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান মাহবুবুর রহমান।

গত ৭ ডিসেম্বর 'ভুয়া সনদে ১৫ বছর চাকরি' শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই কর্মকর্তা ভুয়া সনদ দিয়ে ১৫ বছর ধরে মন্ত্রণালয়ে চাকরি করছিলেন। তার ভুয়া সনদের ফটোকপি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। ১৯৯১ সালে অষ্টম শ্রেণী পাসের সনদপত্র দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন শাখায় পিয়ন পদে যোগদান করেন মোক্তার। পরে ১৯৯৫ সালে অফিস সহকারি কাম মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে পদোন্নতি পান।

এ পদোন্নতির সময় তিনি মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা পাসের ভুয়া সনদপত্র জমা দেন। সর্বশেষ তিনি গত বছরের মে মাসে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পান। প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তার বেতন ছাড় করানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসএসসির মূল সনদ দেখতে চায়। তখন তিনি গড়িমসি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে মোক্তার হোসেনের সনদ ভুয়া কি না জানতে চাওয়া হয়।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ নভেম্বর যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পক্ষে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আজমল গণি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বাণিজ্য সচিবকে জানানো হয়, মোক্তারের সনদ ভুয়া। চিঠিতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কর্মরত মো. মোক্তার আলী হাওলাদারের মাধ্যমিক পরীক্ষা পাসের সনদের ফটোকপি যাচাইয়ের জন্য ৫০ টাকার ব্যাংক ড্রাফটসহ আবেদন পাওয়া যায়। বোর্ডে রক্ষিত রেকর্ডের সঙ্গে ওই সনদের ফটোকপি যাচাই করা হয়। কিন্তু তা ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। মোক্তারের দেওয়া ভুয়া সনদপত্র অনুযায়ী তিনি ১৯৮৭ সালের ১৮ জুলাই যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ছিটকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান শাখায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন।

এতে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ রয়েছে ১৯৭১ সালের ১ মার্চ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.