মেয়েটি অনেক শান্ত প্রকৃতির ছিল। চুপচাপ, ধীর ষ্থির এবং শান্ত । ছিল মেধাবী ছাত্রী। সুতপা এখন আমাদের সবার কাছে শুধুই স্মৃতি। রবিবার ২০ তারিখ সকালে আমি শুনি সুতপা আত্মহত্যা করেছে।
বিশ্বাস করতে পারে নি কারণ ওর মতো ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। ফোন দিলাম বন্ধুদের। জানতে পারলাম লাশ ঢাকা মেডিকেলে আছে ময়না তদন্ত করা হবে। সুতপার পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে । আর সুতপার স্বামীর পরিবার বলছে সে আত্মহত্যা করেছে কিন্তু সুতপার মতো মেয়ে তা করতে পারে না।
রবিবার রাতে সুতপাকে চুয়াডাঙ্গার জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। ঈদ শেষ হলো। আমরা আমাদের এক বান্ধবী ছাড়া ঈদ করলাম। যখনই মনে হচ্ছিল সুতপা মারা গেছে তখনই মনটা ব্যথায় কুকড়ে যাচ্ছিল। আমাদের মাস্র্টাস পরীক্ষা শুরু হয় ১০ সেপ্টেম্বর থেকে।
রোজার মধ্যে আরেকটি পরীক্ষা ছিল ১৪ তারিখে কিন্তু হরতালের কারনে তা হয় নি। ১৫ তারিখে আমি বিভাগের সেমিনারে গিয়েছিলাম দরকারী কাজে আর তখন শেষবারের মতো দেখা হয় সুতপার সাথে। পড়াশুনা নিয়ে,ঈদের কেনাকাটা নিয়ে কথা হয়েছিলো । সুতপা এবং আমার ফটোগ্রাফি কোর্স ছিল। ফটোপার্টির ছবিগুলো কিংবা পিকনিকের ছবিগুলো এখন শুধুই স্মৃতি।
আমরা সবাই আমাদের সহপাঠীর মৃত্যুর বিচার চাই। আমরা যদি তার মৃত্যুর সঠিক কারন উদঘাটন করতে না পারি তাহলে সুতপাও আমাদের ক্ষমা করবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।