মানব ধর্ম বড় ধর্ম সিনেমার ঘটনা শুরু এখন থেকে প্রায় ৪ বছর আগের পরিবেশকে কেন্দ্র করে। শুরু থেকেই অসাধারন সব রগ রগে রক্তাক্ত সব দৃশ্য। এর পর পরই দর্শকের জন্য মুলো ঝুলানো হয়।
মুলো ঝুলানো হলেও বেশ কাজে দেয়। চলতে থাকে একের পর এক নাটকীয়তা।
পরিচালকের মর্জিতে অনেক কিছুর সমন্বয় ঘটেছে এই সিনেমায়। রয়েছে আর্ট, রয়েছে কমেডি, রয়েছে ফিকশন, রয়েছে ড্রামা, এক কথায় কি নেই এই সিনেমায়??? মুগ্ধ হয়ে দেখার মত একটা সিনেমা। যাই হোক অনেক বয়ান দিয়ে ফেলেছি এইবার সরাসরি সিনেমার গল্পে চলে যাই---
২০০৮ সাল, এখন থেকে প্রায় চার বছর আগের কথা, জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা গ্রহন করেন। কথা ছিলো যুদ্ধাপরাধের বিচার হবে, বাংলাদেশ ডিজিটাল হবে, সমৃদ্ধ দেশ গঠন করা হবে, বেকার মুক্ত দেশ গড়া হবে, শিক্ষা ব্যাবস্থার পরিবর্তন হবে, হবে পদ্মা সেতু এবং আরো কত কিছু। কিন্তু কি হয়েছে??? কিছুই হয়নি।
ক্ষমতা গ্রহনের শুরুতেই ছাত্রলীগের ডুবাতে চেষ্টা করে তাদের মুল দল আওয়ামীলীগ কে। সন্ত্রাসের চরম পর্যায়ে পৌছে যায় তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে। অনেক নাটকীয়তা হয় ছাত্রলীগ নিয়ে।
পদ্মা সেতু নিয়ে কাহিনী আরো রোমাঞ্চকর কাহিনী ঘটতে থাকে, মন্ত্রী পরিবর্তন থেকে শুরু করে কি করা হয় নাই ?? নিজেদের টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের উদ্যোগও বাদ যায় নাই।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদের কথা মনে দোলা দেয়ার মত।
লাগামহীন কথা বার্তা ও কাজ কর্ম আমজনতাকে ব্যাপক মজাদার মজাদার উপাদান দিয়েছে। সোহেল তাজ পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে।
পুরো একটি বছর শেষ হয়ে গিয়েছে অথচ সাগর-রুনি হত্যা কান্ডের কোন হদিশ এখনো হয়নি। এছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার নিষ্পত্তি হতে আরো ১১০ দশ বছর লাগবে কিনা তাও অজানা। এবং হলমার্ক কেলেঙ্কারি, রেল কেলেঙ্কারি, সরকারকে কালিমা লেপন করে দিয়েছে।
এবার একটু নজর দেই মুলোর দিকে। যুদ্ধাপরাধের বিচার ২০০৮ সালে কি অসম্ভব ছিল? এত দিন ঝুলিয়ে রেখে এখন বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু বিচারের রায়??? আমজনতা এমন বিচার আশা করেছিলো??? বাচ্চু রাজাকারের কোন খবর নাই অথচ বাচ্চু রাজাকারকে দেয়া হয় ফাঁসির আদেশ। আর কাদের মোল্লা কি এমন অপরাধ করেনাই যে কারনে তার ফাঁসি হবে না???
১০ দিন হতে চলছে, লাখো মানুষের ঢল প্রজন্ম চত্তরে। মানুষ এত দিন বাড়িতে বসে অপেক্ষা করত, এখন রাস্তায় নেমে এসেছে, ৯ দিন পার করেছে।
১৯৭১ এ ধর্ষিতা মা-বোনদের বিচারের আশায়, লাখো লাখো নিরপরাধ মানুষ হত্যার বিচারের আশায়, শুধুমাত্র উপযুক্ত বিচারের আশায়, ১৯৭১ এ রক্ত বন্যার প্রতিবাদে এসেছে ছোট শিশু হতে শুরু করে বৃদ্ধরাও। মানুষ আর ঘরে বসে থাকতে পারেনি, অনেক হয়েছে এবার আর না।
পরিচালকের কাছে আকুল আবেদন, দয়া করে সব রাজাকারকে ফাঁসি দিয়ে এই জাতিকে মুক্ত করুন। নোংরামি অনেক হয়েছে এবার শেষ করুন। জনগনকে আর কিছু দেখাবেন না প্লিজ।
সাধারন মানুষের সেন্টিমেন্ট নিয়ে আর খেলা করবেন না প্লিজ।
রাজাকারদের ফাঁসি চাই বাংলাদেশে
রাজাকারদের কবর চাই পাকিস্থানে !!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।