অশুভ শক্তির মুখোশ উন্মোচনেই তৃপ্তি
(১)
তিনি ঢাবির একজন প্রখ্যাত শিক্ষক। একটি অনুষদের ডিনও ছিলেন এক সময়। নিজেকে প্রগতিশীল ভাবতে ভালোবাসেন। আওয়ামী বামপন্থী হিসেবে পরিচিত ডিপার্টমেন্টে সুপরিচিত। একবার ক্লাসে তিনি লেকচার দেবার এক পর্যায়ে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বললেন, “জানো, কানাডার এক মেয়ে একবার আমাদের দেশে এসে তো অবাক! কারণ, এখানে মেয়েরা মেয়েদের সাথে আর ছেলেরা ছেলেদের সাথে গলায় গলায় ভাব রেখে চলে।
একই লিঙ্গের দু’জনের মাঝে এই সখ্যতা সেই মেয়েটির কাছে খুব খারাপ হিসেবেই মনে হলো। কেননা, তাদের দেশে একই লিঙ্গের দু’জন সাধারণত এভাবে চলাফেরা করে না। সেখানে ছেলে এবং মেয়ের মাঝে ঘনিষ্ঠতা হয়ে থাকে। দু’জন ছেলে কিংবা দু’জন মেয়ের মাঝে সখ্যতা দেখলে তাদেরকে সমকামী হিসেবে মনে করা হয়........। ”
এরপর প্রখ্যাত সেই শিক্ষকটি বললেন, “আমি তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করি।
বন্ধুত্ব হলে তা হওয়া উচিত ছেলে মেয়েতে.......!”
(২)
পরের বছর প্রথিতযশা সেই শিক্ষকের মেয়ে ভর্তি হলেন তার বিভাগেই। সে বছর বিশ্ব বন্ধু দিবসে প্রথম বর্ষের ছেলে মেয়েরা এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করল। সেই শিক্ষকের মেয়েও সেখানে অংশগ্রহণ করল। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে কেক কাটবার পালা। কেক কাটা হলো।
সবাই কেক নিয়ে খাচ্ছে। এমন সময়... হঠাৎই ছেলে মেয়েরা কেকের ক্রিম নিয়ে একজন আরেকজনকে মাখাতে লাগল। দুষ্টুমির এক পর্যায়ে সেই শিক্ষকের মেয়ের মুখেও ক্রিম লাগালো একজন। ঠিকমতো লাগাতেও পারে নি। ব্যস অতটুকুই।
আর যায় কোথায়! সেই মেয়েটি তো রেগেমেগে আগুন! মুহূর্তে তার বাবাকে ফোন দিয়ে নিয়ে এলো সে। ঘটনা শুনে তার বাবাও তো অগ্নিশর্মা! চোখের পলকে তিনি খুঁজে বের করলেন সেই ছেলেটিকে যে তার মেয়ের মুখে ক্রিম লাগিয়েছিল। তারপর...... অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ আর ঘুষির পর ঘুষি! সবাই থ হয়ে দেখতে লাগল সে দৃশ্য! একটা সময় মারধোর বন্ধ করলেন তিনি। তারপর রাগে গরগর করতে করতে চলে গেলেন আর বললেন, ঐ ছেলেকে তিনি নাকি দেখে নেবেন!
(৩)
যেই শিক্ষকটি একই লিঙ্গের দু’জনের মাঝে বন্ধুত্বের পরিবর্তে বিপরীত লিঙ্গের দু’জনের বন্ধুত্বে এতটা বিশ্বাসী তিনি কিনা বন্ধু দিবসে তার মেয়ের সাথে একজন ছেলের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণে এতটা চটে গেলেন!
আশ্চর্য্য!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।