মৃত্যুর সংখ্যা দিয়ে কি সব কিছু বিচার করা যায়? বিডিআরের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে সেখানে ডেপুটেশনে যাওয়া ১৩৬ জন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তার মৃত্যুর সংখ্যা দিয়ে সব পরিস্থিতি কি ব্যখ্যা করা যায়?
যারা মৃত তারা সবাই শেষে পর্যায়ে বিডিআরের কর্মকর্তা এবং সবাই সামরিক বাহিনীর সদস্য। সামরিক বাহিনীর সদস্য হওয়ায় সামরিক বাহিনী ক্ষুব্ধ হয়েছে, শৃঙ্খলাবদ্ধ একদল মানুষ তাদের সহকর্মীর মৃত্যুতে বিক্ষুব্ধ হয়েছে, এবং ট্যাঙ্ক আর গোলাবারুদ নিয়ে আবাসিক এলাকায় উপস্থিত হয়েছে। সেখানের পথচারীরা মৃত্যু বরণ করেছে সংঘর্ষে।
যদি ১ জন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যুর জবাবদিহিতা করতে হয়, তবে সেই সাথে অসামরিক নিরীহ মানুষের মৃত্যুর জবাবদিহিতাও করতে হবে।
যারা সেনাসদস্য তাদের ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ আছে, কিন্তু একই সাথে এটাও সত্য কিছু সামরিক কর্মকর্তার ব্যবহারের উচ্চমন্যতা এই পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী।
সম্মিলিত ভাবে সবাই দোষী নয়, কিন্তু কতিপয় উছ্শৃঙ্খল মুসলিম ভাইদের অপরাধের দায় সম্মিলিত ভাবে সবাই ভোগ করছে। একই ভাবে কতিপয় অপরাধী বাংলাদেশী মানুষের বিচ্ছিন্ন অপরাধের দায় বহন করতে হচ্ছে বাংলাদেশী সবাইকে।
সুতরাং আমাদের পরিচিত জগত অজান্তেই পক্ষ-বিপক্ষ শিবিরে ভাগ বাটোয়ারা হয়ে যাচ্ছে। যারা মায়াকান্না কাঁদছে বিডিআর বিদ্রোহের পক্ষে সাফাই গাইছে, তারা যেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছে, একই ভাবে যারা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নেহায়েত মানুষ গণ্য করছে তাদেরও সাফাই গাওয়ার প্রবণতা আছে।
সবাই শেষ বিচারে মানুষ, মৃত্যু বরণ করলো মানুষ, এবং এখানেই হতাশার উৎপত্তি।
এই মৃত্যুর ন্যায্যতা এবং অন্যায় খুঁজবার চেষ্টা। প্রতিটা সামরিক অফিসারের পরিজনদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব না, যেকোনো মৃত্যুই একটা শুণ্যস্থান রেখে যাবে, সামান্য একটা শুণ্যতা রয়েই যাবে, যেটা কোনোভাবেই পুরণ হওয়ার না।
একজনের ব্লগে কোনো এক সামরিক অফিসারে বয়ান তুলে ধরা হয়েছে, দেশমাতার সেবা কথাটা শুনলেই এখন আশ্চর্য লাগে আমার কাছে। দেশমাতার সেবা করবার অন্য কোনো পন্থা কি মানুষের জানা নেই, নিয়মতান্ত্রিক যোদ্ধা কিংবা খুনী হয়ে উঠা ব্যতিরকে অন্য কোনো উপায়ে বাংলাদেশের সেবা করা সম্ভব হয় না? প্রাতিষ্ঠানিক ভাবেই সামরিক বাহিনী জনবিচ্ছিন্ন, তাদের নিজস্ব কেতা আছে, তাদের নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয় তারা খুলেছেন, তাদের সমরাস্ত্র কারখানা আছে, অস্ত্র তৈরি শেখানোর স্কুল আছে, এবং খুব সচেতনভাবেই সেই সব স্কুলে সাধারণ মানুষ যেতে পারে না।
যারা সাম্যতার কথা তুলবেন, তারাও বিষয়টা বিবেচনা করবেন এই ভাবনাটা মাথায় রেখে।
সাধারণ মানুষ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে যাওয়ার অনুমতি পান না সব সময়, তাকে ক্ষমতাকেন্দ্রের একটা নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছাতে হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে দাখিল হওয়ার আগে।
যারা সেই স্থানে পৌঁছাতে পারেন না, তাদের জন্য সাধারণ হাসপাতালই ভরসা। এই বিচ্ছিন্নতার জায়গাগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া- আমরা তোমাদের মতো না, আমরা তোমাদের তুলনায় পৃথক এবং আলাদা, আমরা শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং নৃশংস হয়ে উঠতে পারি।
বিদ্যমান ব্যবস্থায় প্রভু এবং ভৃত্য সম্পর্কের বাইরে সাধারণ মানুষের সাথে সাধারণ মানুষের আত্মিক সম্পর্কের জায়গায় থাকলে হয়তো সাধারণ মানুষ এইসব সামরিক সদস্যদের মৃত্যুর বিষয়ে সামান্য শোক প্রকাশ করতো।
সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধের ক্ষোভ আদতে ক্ষমতার অনৈতিক চর্চার জায়গা থেকে আসে, এবং ক্ষমতার অনৈতিক চর্চা আদতে সবাই করতে পারে না।
কিন্তু উর্দির ছাপ থাকলে সবার ভেতরেই এই উর্দির বিরুদ্ধে একটা মনোভাব তৈরি হয়েই থাকে।
একই ভাবে সকল মসজিদ কখনই জঙ্গীবাদীদের জন্ম দেয় না, কিন্তু ধার্মিক পরিশুদ্ধতাবাদীদের একাংশ যখন সহিংস উপায়ে অনৈতিক ভাবে মানুষের অধিকার হরণ করতে চায়, তখন সেই সীমিত কয়েকজনের দায় বহন করতে হয় সম্মিলিত ভাবে সবাইকেই।
ব্যক্তি নয় প্রথমেই চিহ্ন চোখে পড়ে বলেই সাধারণ মানুষ সামরিক বাহিনীর আচরণে ক্ষুব্ধ, যে মানুষটা মেজরের ভাই বলে প্রতিবেশীর জমি জবরদখল করে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা পায় এই অন্যায় করার সময়, সেই সময়েও অপরাধ ব্যক্তির হলেও এর পেছনে বড় একটা সমর্থন আসলে এই সংঘবদ্ধ যোদ্ধাদের ক্ষমতার। স্থানীয় প্রশাসন এর বিপরীতে গিয়ে ক্ষমতাবানদের সাথে সরাসরি সংঘাতে উপনীত হতে চায় না, এবং এ কারণেই অনেক অনাচারের দরজা খুলে যায়।
সাধারণ মানুষ যেনো সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিজেদের মতোই একজন সাধারণ মানুষ ভাবতে পারে, উর্দির বাইরেও একজন মানুষকে দেখতে পারে, এই পরিবর্তন আনতে হবে সামরিক বাহিনীর আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থার রদবদল করে।
তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী আচরণ কখনই সাধারণ মানুষকে তাদের প্রতি সমব্যথী করবে। যদি তারা সাধারণ মানুষের কাতারে আসতে চায়, তবে মাথার ভেতরে থাকা এই বিচ্ছিন্নতার কাঁটা তাকেই উপড়ে ফেলতে হবে।
পরিশিষ্ট:
পাকিস্তান সেনাবাহিনী দ্বারা প্রশিক্ষিত এবং পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা যারা ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, এবং এই দেশের সাধারণ মানুষ, যারা স্কুল কলেজ, ক্ষেত আর কামারশালা থেকে উঠে ৩ মাসের সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিবাহিনীর সদস্য হয়েছিলেন, তাদেরও সামরিক বাহিনীর মতো পদ প্রদান করা হয়।
যুদ্ধ শেষে যখন বাংলাদেশ স্বাধীন হলো, তখন প্রাথমিক পর্যায়ে ধারণা ছিলো, বাংলাদেশে কোনো সামরিক বাহিনী থাকবে না। সামরিক বাহিনী বিহীন বাংলাদেশ সবার সাথেই কৌশলগত মিত্রতা গড়ে তুলবে, বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ডের মতো একটি নিরপেক্ষ দেশে পরিণত করবার একটা লক্ষ্য ছিলো প্রাথমিক বাংলাদেশের নেতৃত্বের।
বাধ সাধলো আসলে আর্মি জেনারেল আর্মি মেজরগণ। তাদের দাবি এখানে একটা নিয়মিত সেনাবাহিনী রাখতে হবে। এবং সেটা করতে গিয়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনির প্রশিক্ষিত অংশ এবং সাধারণ ৩ মাসের প্রশিক্ষিত মেজর এবং জেনারেলদের ভেতরে যে সংঘাতের সূচনা হলো , সেটার দায় অনেক দিন বহন করেছে সেনাবাহিনী।
পাকিস্তানে আটকে পড়া সেনাকর্মকর্তারা বাংলাদেশে এসেছেন, এসে তাদের পদ পুনরুদ্ধার করেছেন। এবং তাদের সাথে সরাসরি মুক্তিযোদ্ধা মেজরদের সংঘাত ছিলো, এবং তাদের ভেতরে ষড়যন্ত্র এবং সংঘাত মনোমালিন্যের নেপথ্য প্রকাশ ঘটেছে, এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে মুক্তিযোদ্ধা এবং অকুলীন সাধারণ মানুষ, যারা ৩ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে সামরিক কর্মকর্তা হয়ে উঠেছিলো, তাদের হয় হত্যা করা হয়েছে কিংবা তাদের বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়েছে।
এখানেও কৌলিন্য আর উচ্চমন্যতার চর্চা হয়েছিলো , সেই উচ্চমন্যতার চর্চা এখনও হয়, ভিন্ন ভাবে, ভিন্ন পরিচয়ে।
যে মানুষটা গ্রাম থেকে শহরে এসেছে রিকশা চালাতে, যে মানুষটা নিয়মিত কাজে মোটর সাইকেল নিয়ে পথে নেমেছে, ট্রাফিক কন্ট্রোলের সময় তাদের হেনেস্তা করবার অধিকার একজন সাধারণ সৈনিককে কে দেয়? তার উর্দির বাইরে আসলে এখানে কোনো তাকত নেই। এই তাকতের বলেই সে বলীয়ান। এই উর্দির গরমেই সে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়াই জীপের বহর নিয়ে চলে যায় আবাসিক এলাকায়। সেখানে অস্থায়ী ছাউনি গড়ে তুলে।
আমি মৃত্যুর জন্য আক্ষেপ করি না, আক্ষেপ করি এ কারণেই যে এই মৃত্যুগুলো হয়তো অবশ্যসম্ভাবী ছিলো না। এই মৃত্যুগুলো এড়ানো যেতো। অনেকগুলো সমীকরণ মিলে গেলে হয়তো আমরা এমন বর্বরতার নজীর দেখতে পেতাম না।
মানুষ এই উর্দির ক্ষমতার চর্চা করতেই সামরিক বাহিনীতে যোগদান করে। দেশ সেবার বিজ্ঞাপন আদতে কতটুকু কার্যকর, প্রদত্ত ইনসেনটিভ এবং রাজকীয় সুবিধার বাইরে কে শখ করে সামরিক বাহিনীতে যেতে চায়?
কয়েক দিন আগে একজনের মুখে একটা কৌতুক শুনলাম,
একজন সেনা সদ্য অবসরে যাওয়ার আগে তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলছে।
উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বললেন, আপনি তো আগামীকালই অবসরে যাবেন, এই অবসরে আপনি কি করবেন?
সৈনিক উত্তর দিলো, আমি প্রথমেই একটা বিউগল কিনবো।
উর্ধ্বতন কর্মকর্তা খুবই আনন্দিত হলেন। তিনি বললেন এর পরে কি করবেন?
আমি এরপর একজন বিউগল বাদক রাখবো।
কর্মকর্তা আরও আবেগী হয়ে বললেন, এরপর আপনি কি করবেন?
প্রতিদিন ভোর বেলা বিউগল বাদক বিউগল বাজাবে, আমি ঘুম থেকে উঠে, বলবো তুই বিউগল বাজানো বন্ধ কর।
বলে আমি পাশ ফিরে শুবো।
হঠাৎ করেই একজনের সাথে পরিচিত হলাম, এক মেজরের ছেলে, তার শখ সে সামরিক বাহিনীতে যোগদান করবে।
যদিও আমার জন্য বিষয়টা অনুচিত, তার পরও জিজ্ঞাসা করলাম কেনো তোমার এই ইচ্ছা হলো?
ল্যান্ডফোর্স কেনো? নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী অনেক কিছুই আছে সব ছেড়ে ল্যান্ড ফোর্সে কেনো?
সেখানেই আসল ক্ষমতা। নৌবাহিনী বিমানবাহিনীর কোনো ক্ষমতা আছে বাংলাদেশে?
আমি উত্তর দিতে পারি নি।
আমার পরিচিত কয়েকজন বন্ধু সামরিক বাহিনীতে কর্মরত, তাদের কেউই ঠিক দেশ সেবা করবার জন্য সামরিক বাহিনীতে যোগদান করে নি, তাদের সবারই বক্তব্য একটাই ক্ষমতার চর্চা করবার জন্য সামরিক বাহিনীর বিকল্প নেই,
আমার পরিচিত যেসব পরিবার সামরিক বাহিনীতে ছেলেদের পাঠাতে আগ্রহী, তারা সবাই ঠিক এই ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার জন্যই সামরিক বাহিনীতে সন্তানকে পাঠাতে আগ্রহী। এই আগ্রহের ভেতরেও ঝুঁকি আছে, তবে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে যাওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে কম।
এখানে দীর্ঘ মেয়াদী যুদ্ধের সম্ভবনা নেই, তারা সকাল বিকলা কুচকাওয়াজ করতে করতে বৃদ্ধ হবে, তাদের কাঁধে পিতলের তারার সংখ্যা বাড়বে, ক্ষমতা বাড়বে। এবং তারা সামন্তপ্রভুর মতো সাধারণ মানুষের সাথে ব্যবহার করবে, এবং তাদের অনুগত সৈনিকেরা কোনো প্রশ্ন না করেই তাদের হুকুম তালিম করবে।
এই হুকুম তামিলের ভেতরেই আসলে ক্ষমতার চর্চার প্রসঙ্গটা চলে আসে, একদল অস্ত্রধারী মানুষ আমার মুখের একটা উচ্চারণে কোনো দ্বিধা না করে গুলি ছুঁড়বে এবং হত্যা করবে এই ক্ষমতাই সামরিক বাহিনীতে যাওয়ার একটা অন্যতম উপলক্ষ্য।
দীর্ঘ দিনের এই প্রবণতার বাইরে সমস্ত হিসাব গন্ডগোল করে দিয়ে বিডিআর জাওয়ানের কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। সেনা কর্মকর্তাদের নিরাপদ জীবন এখন আর তেমন আয়েশী ভবিষ্যতের সংবেদ দিতে পারছে না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসবার পরে, প্রথম ধাপেই সামরিক বাহিনীর বেতনস্কেল বদলানো হয়। তখনও এমন কি এখনও বাৎসরিক এডজাস্টমেন্ট বাদ দিলে সরকারী কর্মচারী কর্মকর্তাদের বেতনের স্কেল তেমন পরিবর্তন আসে নি। তাদের জন্য আলাদা আবাসন প্রকল্প শুরু করা হয়। এবং এই তোয়াজের রাজনীতি সেখানে সীমাবদ্ধ থাকে না।
গত দুই দিন যে গণহত্যা হলো সেটার ডিমে অনেক দিন থেকেই তা দিচ্ছে সামরিক বাহিনী, তবে সেই সাপ হঠাৎ করেই পিলখানায় এসে তাদের দংশন করবে, সীমান্তপ্রহরীরা তাদের উপরে অস্ত্র তুলে ধরবে এটা মেনে নিতে তাদের কষ্ট হচ্ছে।
তারা প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে উঠবে অচিরেই, এবং এই প্রতিহিংসার একটা শোভন রুপ তারা দিতে চাইছে, ধারাবাহিক অত্যাচারের গল্প বলে তারা এটাকে বৈধতা দিতে চাইছে।
উচ্চমন্যতা এমনই পর্যায়ে গিয়েছে, গতকাল দেখলাম একজন বলছে দারোয়ানদের প্রভুর বিরুদ্ধে কথা বলা শোভা পায় না। এবং আজকেও দেখলাম সে একই অবস্থান নিয়ে আছে। সীমান্ত প্রহরীদের কর্তাব্যক্তি সামরিক বাহিনী থেকে আসে, এটা একটা ব্যবস্থার ত্রুটি। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিজস্ব একটা কর্মকর্তা কর্মচারী ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন, নিজস্ব অর্গানোগ্রাম না থাকলে এই সীমান্তরক্ষী তথা দারোয়ান বাহিনীর সাথে একাত্মতা বোধ করবে না আত্তীকৃত সামরিক বাহিনীর সদস্যগন।
বিক্ষোভ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নয়, বিক্ষোভ কর্তাব্যক্তির বিরুদ্ধে,
বিডিআর শেষ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর সাথে সংঘাতে জড়ায় নি, জড়িয়েছে তাদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এবং এই পার্থক্যটা উপলব্ধি করতে পারছে না বলেই তথাকথিত প্রাক্তন ক্যাডেট কলেজের ছাত্রগণ, যাদের ভেতর থেকেই অধিকাংশ মেজর লেফটেন্যান্ট জন্ম নেয়, তাদের পরিচিত মানুষের মৃত্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
এই উচ্চমন্যতাকে দমন করাই একটা প্রধান কাজ হতে পারে এই সময়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।