আবারো সুস্পষ্ট সংঘাতের দিকে যাচ্ছে দেশ। সরকার ও বিরোধী দল আবারো মুখোমুখি অবস্থানে। আগামী নির্বাচন প্রক্রিয়া কী হবে তা নিয়েই মূলত দু’দলের মধ্যে সংঘাত চলছে। সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করার পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করার ব্যাপারে মোটামুটি বদ্ধপরিকর। অপরদিকে, বিরোধী দলগুলো শুরু থেকেই স্পষ্ট জানিয়ে আসছে, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা যাবে না এবং এ ধরনের নির্বাচন হতেও দেবে না।
সবশেষ গত ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলীয় জোট ব্যাপক সংঘর্ষ ও সহিংসতার মধ্যদিয়ে রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। সরকারের দমন-নিপীড়নের অভিযোগ এনে তারা একদিনের হরতালের ডাক দিয়েছে। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নবম নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে ২০০৬ সালের শেষ কয়েক মাস দেশের অবস্থা কেমন হয়েছিল তা মোটামুটি সবারই স্মরণ আছে। সে সময় প্রধান দুই দলের বাড়াবাড়ির কারণে প্রায় আড়াই বছর জরুরি অবস্থায় দেশ শাসন করেছে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
গণতান্ত্রিক দলগুলো সে সময় কতটা হেনস্থা হয়েছিল তা কেউই ভুলে যাওয়ার কথা না। দেশের রাজনৈতিক অবস্থা যেভাবে সহিংস রূপ নিচ্ছে তাতে ওই আশঙ্কা আবারো দেখা দিয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ব্যাহত হলে এবারো দায়ী থাকবে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো।
গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র জনগণ। জনগণের জন্যই যদি হয়ে থাকে রাজনীতি তাহলে জনগণের কথা ভাবতে হবে সবাইকে।
জনগণের সেন্টিমেন্ট কোনদিকে সেটা বুঝতে হবে। আর যাই হোক, জনগণ রাজনীতির সহিংস রূপটা পছন্দ করে না। তারা উদার ও সহনশীল রাজনৈতিক আচরণই কামনা করে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।