আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংঘাতের পথ পরিহার করতে হবে

আমাদের মহান বিজয়ের আরও একটি বার্ষিকী আমাদের সামনে। বিজয়ের এই ৪৩তম মাহেন্দ্রক্ষণে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপিতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি, জাতীয় চার নেতাসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের সব শহীদ ও বীর সৈনিকদের। সময়ের পরিক্রমায় বাংলাদেশের যাত্রাকাল ৪৩ বছরে পা দিয়েছে। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ শৈশব, কৈশোর এবং যৌবনও অতিক্রম করেছে।

অবশ্য জাতি গঠন বা রাষ্ট্র গঠনের বিবেচনা হাতে নিলে ৪২ বছর কোনো বড় সময় নয়। কিন্তু বৈশ্বিক সমাজের বিবেচনায় আধুনিক সময়ে ৪২ বছর কম সময় তো নয়ই, বরং রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত ও কাঠামো মজবুতকরণের ক্ষেত্রে এ সময় অনেক। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজের সার্বিক দিকের উন্নয়নে বিশ্ব যে পর্যায়ে অবস্থান করছে, তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভিত ও কাঠামো বিনির্মাণে ৪২ বছর যথেষ্ট সময়। এই সময়ে অনেক দিক থেকে আমাদের অগ্রগতি শুধু সন্তোষজনকই নয়, বিস্ময়করও বটে। অথচ এ সময়ে আমরা একটি মজবুত রাষ্ট্রীয় কাঠামো গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি এমনটি বলা চলে না।

কিন্তু এ অবস্থা প্রত্যাশিত ছিল না। যদিও আমাদের যাত্রালগ্নে জাতি হিসেবে আমাদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে কম কথা হয়নি। বলা হয়েছে, বাংলাদেশ তলাবিহীন জুড়ি। সব শঙ্কা আর সম্ভাবনাহীনতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে বহু ক্ষেত্রেই মডেল। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, এ সময়ের মধ্যে আমরা টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি।

১৯৭৫ সালের হৃদয়বিদারক পটপরিবর্তনের পর আমাদের জাতীয় জীবনে বারবার সমরতন্ত্র চেপে বসেছিল। তারপরও নানা চড়াই-উৎরাই পার করে আমরা গণতন্ত্রে ফিরেছি। যদিও এ পথও খুব মসৃণ ছিল না।

এখন আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, আমরা এই অমসৃণ পথ বেয়ে আগামী দিনে গণতন্ত্রকে কতটা শক্তিশালী ভীতের ওপর দাঁড় করাতে পারব? কেননা গণতন্ত্র এবং অসাংবিধানিক পথ আমাদের সামনে সমান্তরালভাবে দাঁড়িয়ে আছে। এদিক বিবেচনায় বলা যায়- আমরা দাঁড়িয়ে আছি একটি ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে।

জাতি হিসেবে আমরা কোথায় যেতে চাই, তা নির্ভর করছে এ সময়ের নেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর। আমাদের সামনে এখন দুটি পথ খোলা। এক. জামায়াত ও জঙ্গিবাদ অধ্যুষিত বিএনপির মতাদর্শে দেশকে এগিয়ে নেওয়া। দুই. মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। দেশের আপামর জনসাধারণ নিশ্চয় প্রত্যাশা করে না বাংলাদেশ পাকিস্তানের প্রেতাত্দায় ফিরে যাবে।

যারা রাজনীতিসচেতন তারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করছেন বাংলাদেশের রাজনীতি গত কয়েক বছরে শঙ্কা আর সম্ভাবনার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধের বিচারকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবির ১৯৭১ সালের মতো পুনরায় ধর্মকে সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। চাঁদে সাঈদীকে দেখাসহ আলেম-ওলামাকে বিভ্রান্ত করার প্রাণান্তকর চেষ্টা তারা করছে। আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ও দেখেছি এসব হায়েনা কীভাবে ধর্ম রক্ষার নামে পাকিস্তান রক্ষায় নেমে গণহত্যা, লুণ্ঠন, রাহাজানি ও ধর্ষণের উল্লাসে নেমেছিল। বাংলার মাটিতে কান পাতলে এখনো শোনা যায় সেসব মানুষের আর্তনাদ।

একুশ শতকে এসে আজ যখন দেখি, পুরনো হায়েনারা আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমার ভাইবোনের রক্তের দামে কেনা মহত্তম অর্জন স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করতে উদ্যত। তখন আমাদের চুপ করে থাকলে চলবে না। মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। দেশ ও জনগণের অধিকারকে কোনোভাবেই বিপণ্ন হতে দেওয়া যায় না।

আর এ জন্য দরকার একাত্তরের চেতনাকে সমুন্নত রাখা এবং একই সঙ্গে গণঐক্য গড়ে তোলা।

আমরা যারা রাজনীতি করি, তাদের চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। সাধারণ মানুষের কথা শোনার পাশাপাশি শুনতে হবে তরুণদের কথা। প্রযুক্তিনির্ভর দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের মূল স্রোত সবার আগে ধারণ করে তরুণ প্রজন্ম। বাংলাদেশের মানুষও আমাদের প্রত্যয়ী তরুণের ওপর ভরসা রাখে।

যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবি ও সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যাশায় দেশের তরুণ সমাজ ও জনসাধারণ ২০০৮ সালের নির্বাচনে যে অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছিল, তা বাংলাদেশের ভোটের রাজনীতির ইতিহাসে বিরল ঘটনা। সাম্প্রতিক সময়েও তরুণরা জামায়াত, হেফাজত ও বিএনপির তাণ্ডবের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে। তরুণদের এই কার্যক্রম আমাদের নিঃসন্দেহে আশাবাদী করে তোলে। আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে- যুদ্ধাপরাধ বিচারের একটি মামলার রায়কে (কাদের মোল্লা) কেন্দ্র করে রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে নতুন প্রজন্মের মুক্তবুদ্ধির তরুণ ও যুবকদের এক অভূতপূর্ব অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়। বস্তুত এ রায় ঘোষণার কয়েক দিন আগ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নেওয়া ও এই অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে যে সহিংস ও নৈরাজ্যবাদী অরাজক পরিস্থিতির উদ্ভব সংগঠনের প্রয়াস চলছিল, তারই প্রতিক্রিয়া হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে, যুদ্ধাপরাধের বিচারের স্বপক্ষে তরুণ ও যুবকদের অহিংস শান্তিপূর্ণ দ্রোহের সূচনা হয় শাহবাগ চত্বরে।

তারই পথ ধরে এই শান্তিপূর্ণ অহিংস দ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে দেশব্যাপী। তরুণ-যুবাদের এই দ্রোহে শামিল হতে থাকে দেশের আপামর জনগণ। যারা দেশপ্রেমকে তাদের ইমানের অংশ মনে করেন, সেই মুক্তবুদ্ধির আলেম সমাজ এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমান সাধারণও এই দ্রোহে শামিল হতে থাকেন।

জামায়াত তথা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার তথাকথিত আন্দোলনে শামিল সংখ্যালঘিষ্ঠ একটি গোষ্ঠী অবস্থা বেগতিক দেখে ভিন্ন পথ অবলম্বনের প্রয়াস পায়। দেশের কওমি মাদ্রাসা-সংশ্লিষ্ট (যাদের অধিকাংশকেই খারেজি ও ওহাবি মতাদর্শের লোক বলে মনে করেন পীর-দরবেশ-মাশায়েখরা) একটি প্রভাবশালী অংশকে নানাভাবে হাত করে নিয়ে দেশে ধর্মান্ধ একটি আবহ সৃষ্টির পথ বেছে নেয়।

তাই যখন শান্তিপূর্ণ অহিংস আন্দোলনের শাহবাগ গণজাগরণের পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয় তখন নবী করিম (সা.)-এর আদর্শের পথ পরিহার করে এই ক্ষুদ্র অথচ ধর্মান্ধ গোষ্ঠীটি গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে অস্বীকার করে হুমকি-ধমকি দেয়। পরবর্তী সময়ের ঘটনা সবার জানা। আজ জাতির সামনে স্পষ্ট কেন এ ধরনের ঘটনা সে দিন ঘটানোর চেষ্টা হয়েছিল। এই ক্ষুদ্র ধর্মদ্রোহী পথভ্রষ্ট আলেম নামধারীদের (যারা হজরত আলীকে হত্যা করেছিল) বিভ্রান্তিমূলক ধর্মান্ধ অবস্থানকে অবলম্বন করে অবশেষে বিএনপি রাজনীতির ময়দানে দাঁড়ানোর একটা প্রয়াস নিচ্ছে এবং তাদের লক্ষ্যই এখন বিএনপির লক্ষ্য। মহান বিজয়ের মাসে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভেতরে ভেতরে এই শক্তি আবার সোচ্চার হচ্ছে।

তারা সাংবিধানিক নিয়মনীতিকে অমান্য করে মানুষকে এই বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব নয়। আমরা দেশের ধর্মপ্রাণ সব মুসলমানসহ ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব মানুষকে রাষ্ট্রদ্রোহী, ধর্মদ্রোহী এই বেইমানদের চক্রান্ত সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাব।

আমাদের মনে রাখা দরকার, বাংলাদেশ কোনো দারুল হরব নয়। এটি একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। এটি কোনো খামখেয়ালিপনার জায়গা নয়।

বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর প্রাণের স্পন্দন বুঝতে না পারলে ক্ষতি কার হবে, বুঝে নেবেন। একই সঙ্গে আমরা সরকারসহ দেশের সব গণতন্ত্রকামী, প্রগতিকামী শক্তিসমূহকে ঐক্যবদ্ধভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে আহ্বান জানাব। কেননা, এবার আমাদের জীবনে, বাঙালির জীবনে, বাংলাদেশের ইতিহাসে বিজয় দিবস এক নতুন দ্যোতনা নিয়ে ফিরে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভাস্বর সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর আমাদের রাষ্ট্রীয় ও সমাজ জীবনে যে উত্তাপ ছড়িয়েছে, এবারের বিজয় দিবস সে উত্তাপকে বহন করে নিয়ে এসেছে। বাঙালির জীবনে বিজয়ের মাস এমনিতেই আলোর উত্তাপ নিয়ে আসে, এবার সে উত্তাপই লাখো কোটি গুণ বেড়ে সমগ্র জাতিকে আগুনে পুড়িয়ে নতুন জীবন দিতে এসেছে।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর আমাদের সমগ্র চেতনাকে স্তব্ধ করে দিয়ে মৃত্যুর শীতলতায় পৌঁছে দিতে উদ্যত ছিল প্রতিক্রিয়ার শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ শক্তি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি। বাঙালি সত্তা জেগে উঠেছে। জয় বাংলার দুর্দমনীয় স্লোগানকে ধারণ করে বাঙালি আবার জেগে উঠেছে। যা কিছু মন্দ, কুলুষ, সব কিছুকে ঝেড়ে মুছে দিয়ে, সব দুর্বলতাকে ছাড়িয়ে তারুণ্যের যে উচ্ছ্বাস সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে, সে উচ্ছ্বাসকে ধারণ করে আবার ডিসেম্বর এসেছে আমাদের জীবনে।

তাই এবারের বিজয় দিবসে আমাদের শপথ স্পষ্ট। সব বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে আমাদের এগুতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলার যে সুযোগ এসেছে তা হেলায় হারাতে দেওয়া যায় না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে উৎখাত করায় আমরা জাতি হিসেবে, রাষ্ট্র হিসেবে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, তা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। তারপরও এ দেশের জনগণ আমাদের আবারও একটি সুযোগ এনে দিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে পুনর্গঠনের, সে সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।

ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে মোকাবিলা করতে হবে। নতুন দিনের চেতনা, বিজয়ের চেতনা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এক ও অভিন্ন এবং অবিচ্ছেদ্য। এই ঐক্যের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।

আমাদের মনে রাখতে হবে, এবারের বিজয়ের মাস বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়কে আরও গতিশীল করবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যদিও ইতোমধ্যে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে আসেনি।

তাদের দাবি নির্বাচন হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হতে যাচ্ছে সর্বদলীয় সরকারের অধীনে। আমরা মনে করি, সংবিধানের বাইরে নির্বাচনের বিকল্প নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে নির্বাচনে না আসার যে অজুহাত বিএনপি-জামায়াত দেখাচ্ছে, এটি আসল কারণ নয়। আসল কারণ হচ্ছে একটি স্থিতিশীল ও স্থায়ী সমাধান তারা চান না।

তারা চান একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সব সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকুক। এতে করে বাঁকা পথে ক্ষমতার সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠা সম্ভব। এ ধরনের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র থেকে দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে। ইতোমধ্যে তারা আন্দোলনের নামে যে রাজনীতি শুরু করেছে, তার নাম কখনো আন্দোলন হতে পারে না। সংখ্যালঘুর ওপর আক্রমণ, কথায় কথায় ধর্মের অপব্যবহার ১৯৭১ সালে করা হয়েছিল।

বর্তমানে এসে তা আর চলতে দেওয়া যায় না। এখনই সময় এসব অপশক্তিকে রুখে দেওয়ার। আর এ জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং ভোটের মাধ্যমে জনগণের প্রকৃত ইচ্ছাকে সম্মান জানানো।

বিজয় দিবসের প্রাক্কালে আমরা আশা করব- গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে যে আকাঙ্ক্ষা তাড়িত হয়ে বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম রচনা করেছিল, সে লক্ষ্যে আমরা সহনশীলতার সঙ্গে এগিয়ে যাব। অন্যথায় আমাদের সামনে রয়েছে শঙ্কিত এক ভবিষ্যৎ।

আগামীর মানুষের কাছে আমাদের দায় আমরা এড়াতে পারব না। আসুন, আমরা সবাই মিলে দল-মত-নির্বিশেষে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের পথে অগ্রসর হই এবং ৪৩তম বিজয় দিবসে আমরা সুখী-সমৃদ্ধ শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার শপথে বলীয়ান হই। সংঘাতের পথ পরিহার করে ঐকমত্য, সংযত ও সহনশীলতার পথে অগ্রসর হই। জয় বাংলা।

লেখক : সংসদ সদস্য।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.