আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তদন্ত এবার খালেদার ব্যাগ ও স্যুটকেসের

অজানা গন্তব্যহীন পথে হঠাৎ নানা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যের জন্ম হয় নিজের মাঝে, । সেই গন্তব্যহীন পথে নানা নতুন নতুন উদ্দ্যেশ্যের পিছনে আমার ছুটে চলা, আমার বিরামহীন পথ চলা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ওমরা পালনের জন্য সৌদি আরব যাওয়ার সময় যেসব ব্যাগ ও স্যুটকেস নিয়ে গিয়েছিলেন তাতে কি ছিল তা তদন্তের বিষয়টি বিবেচনা করবে সরকার। তবে বিষয়টি অনেক দিন আগের ঘটনা, ইতিমধ্যেই বুডিগঙ্গায় অনেক জল গড়িয়ে গেছে, তবুও তদন্ত করা হবে। আওয়ামী লীগের জিলুল হাকিমের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সোমবার জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানান।

প্রশ্নকর্তা জানতে চেয়েছিলেন, বেগম জিয়া ৪শ’ সুটকেস, ব্যাগ ও ট্রাংকে মূল্যবান ডলার এবং অলংকার নিয়ে গিয়েছিলেন। এ বিষয়টি তদন্ত করা হবে কিনা? জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই বিষয়টি বিবেচনা করবে সরকার। অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনা স¤পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া কোর্টে মামলা চলছে। এ ব্যাপারে সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সিঙ্গাপুরে কিছু টাকা জব্দ করাও হয়েছে।

মামলা নি®পত্তি হলে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। বেগম মেহের আফরোজ চুমকির এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতীয় রাজ¯¦ বোর্ড আয়কর ফাঁকি তদন্তকালে ২৯৮ জন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে ৩৯ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির জন্য ¯েপশাল কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৫টি মামলায় ¯েপশাল কোর্ট রায় দিয়েছেন। ১২টি মামলায় রায়ের সার্টিফাইড কপি জাতীয় রাজ¯¦ বোর্ডে জমা পড়েছে।

৮টি মামলায় ২১ কোটি ৬৯ লাখ ৫৭ হাজার ১২৬ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে বিগত তত্ত¦াবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতি দমন কমিশন কোন ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করেনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০০৮-০৯ অর্থবছরের ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় রাজ¯¦ বোর্ড ২২ হাজার ৩৮২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা আয় করেছে। এ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৪ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা। এর মধ্যে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪১ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ।

এটা পূর্ববর্তী ৬ মাসের তুলনায় অনেক কম। আওয়ামী লীগের মোঃ তাজুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। তত্ত¦াবধায়ক সরকারের সময়ে গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। আওয়ামী লীগের আনম শামসুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে বিদেশ থেকে ৮ হাজার ৯৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটে›স এসেছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৭০ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.