প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা আজকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ঐক্যজোট সম্পর্কে যে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল জনাব মুহাম্মদ কামারুজ্জামান আজ ২২ সেপ্টেম্বর নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
“প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা আজকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ঐক্যজোট সম্পর্কে যে, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করেছেন আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মত একটি সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত থেকে তার এ ধরনের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপাত্মক হালকা মন্তব্য শুধু বেমানানই নয়, অশোভনও বটে। জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে তার বেফাস মন্তব্যে আমরা বিস্মিত হয়েছি। নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপে আমরা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সব সময়ই সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়ে আসছি। প্রথম দু’দফা সংলাপে আমরা বলেছিলাম যে, ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধীকরণের বিষয়টি যেহেতু নতুন তাই খুব সহজ শর্তে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করতে হবে।
নিবন্ধনের অজুহাতে যাতে কোন দলই নির্বাচনের বাইরে থেকে না-যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ সহজ শর্তে রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করে সব দলকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিতে হবে। ’ কিন্তু নির্বাচন কমিশন আমাদের সে পরামর্শের কোন তোয়াক্কা না করে অনেক কঠিন শর্ত জুড়ে দিয়ে নিবন্ধীকরণ বিধি-বিধান প্রনয়ণ করেছে। সেই কারণে তৃতীয় দফা সংলাপে আমরা বলেছি, ‘নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধনের জন্য যে সব কঠিন শর্ত ও স্বল্প সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে তা ঐ সময়ের মধ্যে কোন দলের পক্ষেই পূরণ করা সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় আমরা মনে করি এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধীকরণ বাধ্যতমূলক করার বিধান প্রয়োজন নাই।
’ জামায়াতে ইসলামী নীতিগতভাবে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধীকরণের বিরোধীতা করেনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার বক্তব্যে ‘হায় আল্লাহ, রমযানে ইহা কি শুনিলাম, তারা এবাউট টার্ন নিয়ে চলে গেলেন’ মর্মে যে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেছেন তাতে দেশবাসী বিস্মিত হয়েছে। আমি আশা করি তিনি ভেবে দেখবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে অধিষ্ঠিত থেকে তার এই ধরনের মন্তব্য করা কতটুকু শোভনীয় হয়েছে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।