আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
মন চায় গালাগালি পাড়ি, ইদানিং এটাও শুরু করেছি। বাসার ভিতরে হয়তো একটু বইক্ষসা দেয়া হয়, কিন্তু রিক্সাওয়ালা, রাস্তার ফটকা যারে গাল দিয়ে সুখ পাওয়া যায়। সেদিন এক আর্মি ক্যান্টনম্যান্টে রাত 9:30 টায় সুধাই রিক্সাটাকে আধা ঘন্টা দাড় করিয়ে রাখলো। সমানে গালাগালি করলাম।
খেয়াল করলাম দেখি কোনো ভাব লেশ নাই। পিছনের রিক্সার কিছু যুবক পুলাপান গান গাওয়া শুরু করলো এ্যাডাল্ট গান। তাতেও ভাবলেশ নেই। বাস্টার্ড দুনিয়ার সাকড আপ রুলস।
ইদানিং অনেক কিছু দেখা যায়।
মনে হয় পুরা নগরী পুজিবাদী সার্কাসে পরিণত হয়েছে। সুশীল সমাজের তলপেটে আর গালে প্রচুর চর্বি জমেছে। জীমে যেতে পারেনা কারন তাতে বাস্টার্ডদের কৌলিন্য নস্ট হয় অথবা সহ্য করতে পারেনা তাদের দিন শেষ হয়ে গেছে। অনেক যুবক-যুবতী সুশীল সমাজও বিদ্যমান। দেখি মানব বন্ধন করে বৃস্টি ভেজা দিনে, এরকম দিনে রক্তে প্যাথেড্রিন নিয়ে রিক্সায় ভিজতে অনেক ভালো লাগে।
কারন এতে সেন্সগুলো মরে যায়। ফলে ইচ্ছে হলেই রাস্তায় যেকোনো জায়গায় বসে থাকা যায়। এক পিচ্চি টোকাইয়ের ছবি দিলাম যে ডাস্টবিন থেকে খাবার কুড়িয়ে খায়।
-পরাটা খাবি?
কেমন যেনো সন্দেহের দৃস্টিতে তাকালো। আমাকে শিওর পিচকি পিকে মনে করছে।
আমার হাতে থাকা সিগারেট ফেলে দিয়ে কয়েকটা আনারসের টুকরা কিনলাম আর হাতে গুজে দিয়ে বললাম," আমার সাথে যদি থাকটে পারিস, তাহলে এই 500 টাকা তোর। এ্যডভান্স 100 টাকা। পকেট কই?"
-নাই।
-ল হাউয়ার পো, আগে একটা প্যান্ট কিনি!
ফুটপাতে থেকে একটা ওভার সাইজ প্যান্ট আর একটা বেল্ট কিনলাম। পিচকার মুখে হাসি।
নিয়ে গেলাম প্রেস ক্লাব। গিয়া দেখি একটা মানব বন্ধন চলতাছে। কোন পোলার নাকি মরনের টাইম হইছে, কোন বালের প্রাইভেট না পাবলিক থিকা গোল্ড মেডেল পাইছে হের লিগা কতগুলান মাইয়া পোলা দামড়া দামড়ি খাড়াইয়া আছে। দেইখা আমার মাথা ঘুইড়া গেলো। আমি আর টোকাইডারে নিয়া গেলাম ঐখানে।
এক কোনায় দাড়াইয়া বাকী 400 টাকা দিয়া কইলাম," আমি মানুষটা খুব খারাপ। পারলে মাফ কইরা দিস। "
গলায় ঢোক গিললো। আমি ঐ মানববন্ধনের সামনে নিয়া দিলাম পাছায় গদাম লাথী। লাথীটা দিলাম একটা সাদা সালোয়াড় পড়া মাইয়ার সামনে।
ভাবলাম এই মাইয়াটা আগাইলে অন্য পুলাপান আগাইবো। লাথী খাইয়া টোকাইখান পইড়া গেলো। অবশ্য লাথী খান আস্তেই মারছিলাম লাথীটা ছিলো ধাক্কা টাইপ। আমি গটগট কইরা আস্তে আস্তে আরেকটু দূরে যাইয়া খাড়াইলাম। দেখি কি হয়।
পোলাটা কিছুক্ষন পইড়া পায়ের ময়লা ফেলাইয়া আমার দিকে চাইয়া গাইল দিলো। পরে দেখি আমার খোজ না কইরা ঐ মাইয়াটার কাছে গিয়া দুইটা টাকা চাইলো। আরে কি আচায্য মাইয়াটা দেখি মুখে ওড়না দিয়া ঢাইকা বললো, "সর সর"। পাশের ছেলে গুলান বললো," ভাগ ভাগ!" এমন সময় ঐ লাইনের এক বুড়ো এসে পকেট থেকে বাহারী চালে মানিব্যাগ টা বের করে 10টা টাকা ধরিয়ে দিলো। পুচকেটা ওটা নিয়ে সিগারেটের দোকানে গিয়ে একটা বিড়ি কিনলো।
এই হলো বালের সুশীল সমাজ। গোল্ড মেডেলের আবালের অনেক দাম মাগার ঐ জারজ টোকাইয়ের দাম নাই। আজকে দেখন যায় দেশের তেরটা কারা বাজায়....এইসব সুশীল গুলান নেতাদের কোম্পানীর কনসাল্ট্যান্ট হইয়া লাইন দেখায় আর দেশটার বাশ দেওনের রাস্তা হয়। আমি খালি চাইয়া দেখুম যেদিন আমি এমুন অসুস্হ হমু। হয়তো 60-70 লাখ টাকা লাগবো লিভার সরাইতে।
আমার বাপ-চাচারা এই টাকা দিবার চাইলেও নিমুনা। আরে আমিতো খবীশ পোলা, আমি বাচলে কার কি হইবো, আমি মরলে দুই একটা মানুষ একটু কান্নাকাটি করবো। তাগো কান্নার দাম এতো বেশী কিনা জানি না, কিন্তু আমি যদি এই রাস্তায় পইড়া থাকা টোকাইগো বা গরীবের পুতেগো চিন্তা করি, তাইলে হয়তো এতো কান্না এক জায়গায় জমা হইলে সাগর হইয়া যাইবো।
আমি কয়েকদিন ধইরা অনেক প্রতিস্ঠানে ফুনাইতাছি, খুজতাছি এমুন কোনো ডিসেন্ট প্রতিষ্ঠান আছে কিনা যারা এগো সাহায্য করে। কয়েকটা পাইছি, এর মধ্যে দুই একটা গেছিলাম।
একটা আছিলো সাভারে। তাগো লগে আমার মনের কথা কওনের সময় দেখি দামই দেয় না। আমি কইলাম," ব্যাপার কি? কান দিয়া বাতাস যায় না নাকি?"
-কিছু মনে কইরেন না, আপনের মতো অনেক দেশী বিদেশী চিজ আসে আমাগো কাছে, তাই অহন দেহি পোশাক আশাক দেইখা দাম দিমু।
-তাইলে তো আপনেগো মেলা টাকা, কিন্তু খাওনের মেন্যু এতো বেহাল কেন?
-এইখানেই তো দেখছেন আমাগো ফুটানি। আপনের মতো মেলা পুলাপান আসে, ঘুইড়া যায়, অনেকে বিদেশ থিকা আসে কয়েকদিন থাইকাও যায়।
কিছুদিন পর গেলে বুঝন কার মনে কয় মন মানবতা। কয়েকদিন পর সব উধাও। ফোন করলে উঠায় না, মেইল করলে জবাব দেয় না।
-সমস্যা থাকতেই পারে। দেশের পাবলিকের তো টাকা উথলাইয়া পড়ে না!
-দারুন কইছেন, কিছু পাবলিক আছে বিদেশে থাকে মেলা সভা সেমিনার করে।
কিছু টাকাও দেয়। মাগার পরে এইসব আরো বেশী শয়তান হয়। যখন উদ্দেশ্য হাসিল হয়, তখন সব পাল্টাই যায়। এইডারে কি কইবেন? আপনেরে কইতেছি কারন আপনে আমার পরিচিত মহলের লোক। মেলা কস্টে থাকি যখন দেখি এই বাচ্চা গুলানের এক বেলা খাওনের জন্য বেচনের কিছু বাসায় থাকে না।
তা আপনি কি নিয়া আসছেন?
-আমি কিছুই নিয়া আসি নাই, আমি খালি দেখি, রিসেন্টলি আমিও একটা ধরা খাইছি। তয় আমি বাস্টার্ড না এইসব স্বদেশী ভিনদেশীদের মতন। আমার কার্ড চেন্জ্ঞ হইলেও ইমেইল ঠিক থাকবো। একটা কাম করেন, আপনেরা নিজেরাই স্বনির্ভর হইয়া যান। কয়জনের কাছে হাত পাতবেন।
এই নেন রাইট পারসনের কার্ড, কিছু কস্ট কইরা কামান।
-চলে না এইডাও ঠিক না। কোরান শরীফে পড়ছিলাম ইহুদী-নাছাড়া নাকি সবচেয়ে বড় শত্রু আমাগো। এখন দেখি অগো টাকাতেই আমাগো চলে। তয় ওগো কাজ দেখাইতে হয়, তাইলেই কাজ হয়।
হয়তোবা কোরান শরীফে ঠিকই কইছে, মুখে ইসলাম নিয়া যারা দিল থিকা ইহুদী নাছাড়া তারাই মনে হয় সবচেয়ে বড় শত্রু, আর কেউ না।
কথাটা মনে ধরলো, আসলেই সুশীল খ্যাত সমাজরা কি তাহলে তাদেরই অংশ?
অবশ্য আমি ফাক পাইলে বইলা বসি না আমাগো দেশের মানুষই খারাপ। বাহরাইনের কুন একখান দেশ আমাগো লোক না নিলে আমরা নাই খাইয়া মরুম সেই দুঃখেও কমুনা যে আমাগো দেশের জনগন খারাপ। গরীব হইছি বইলা শালার মাান সম্মান সুশীল সমাজের কাছে ধার দিয়া বইছি এইডা কুন হালায় কইছে!
শালার বাস্টার্ড সুশীল!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।