লন্ডন হইতে চাইয়া দেখে, মহা সিন্দুর পারে।
আরেক জনা আছে বসে, দিল্লির শহরে।
খাটে না তার আইনের বিচার, আসামে কি কুচ বিহারে,
আপনারে ধন্য বলি তারে আমি, মানুষ বলি তারে।
আপন ঘরে বইসে যে জন চিনতে পারে আপনারে,
ধন্য বলি তারে আমি, মানুষ বলি তারে। ।
জয়ধন মুনির মন্ত্র, তার বর পুত্রের কানে বাজল। বর পুত্র আকূল হয়ে বলল:
আপন ঘরে পরবাসী, পিতা হলই স্বর্গবাসী
মাতা গেল দেহ রাখি, ক্ষুধার অন্ন কৈ?
জয়ধন মুনির স্বর্ঘ থেকে মর্তেল মানুষের জন্য করার কিছু নেই, তবু ঢাকে সারা দিলেন:
মুনিঃ আমায় ডাকলি মোরে কে জয়ধন মুনিরে
ডাক শুনিয়া আকুল প্রাণে আসি এই খানে। ।
বর পুত্রঃ বিদেশী এক অধিকারী, বিলাতে তার আসল বাড়ী
কলিকাতায় হয় কাচারী, (বুড়ি) গঙ্গার ধারে।
মুনিঃ পরথম দর্ষণের কথা কইতে প্রাণ যায়
দশ্যু গনে জল পথে ভারত মূখে ধায়।
বর পুত্রঃ বানিজ্যাতে আইল তারা বন্দুক লইয়া কাঁধে
রাজা খূসি বানিজ্যতে খাজনা নাহী লাগে। ।
মুনিঃ দ্বিতীয় আরজির কথা কইতে প্রাণ যায়
সৈন্য বিনে পন্য লুটে সকল জনতায়। ।
বর পুত্রঃ দুর্গ গড়ি কামান দাগে লুটেরা খেদায়
ভারতে করিল ঘাটি রণ তরী ধায়।
।
মুনিঃ তৃতীয় সন্ধির কথা কইতে প্রাণ যায়।
জাগা বুইজা দশ্যু গনে জমিন কিনতে পায়।
বর পুত্রঃ বিনা শুল্কে বানিজ্যেতে রাজা হইতে চায়
এখন দেখি অসি খুলে রাজারে ধমকায়।
মুনিঃ চতুর্থ যুদ্ধের কথা কইতে প্রাণ যায়
মীরজাফরের বেইমানিতে জয়ী হইয়া যায়।
বর পুত্রঃ হস্ত কাটি মশলিনেরে করিল বিদায়
নীলের বিষের দাঁত বিন্ধিল ধরায়। ।
মুনিঃ পঞ্চম বিদ্রোহের কথা কইতে প্রাণ যায়
ক্ষুধিরামের ফাঁসি হইল ভারতের দড়ায়। ।
বর পুত্রঃ গান্ধি আইল সাথে করি অহিন্সার পণ
আমার দেশে আমি রাজা তুমি কোন জন?
মুনিঃ ষষ্ঠম ফান্দের কথা কইতে প্রাণ যায়
জিন্না বলে পাকিস্তানের রাজা হইতে চায়।
।
বর পুত্রঃ একদিনেতে কলিকাতায় পাঁচলক্ষ নিধন
এক ভাই আরেক ভাইয়ের কাঁটিল গর্দণ। ।
মুনিঃ সপ্তম ভাগের কথা কইতে প্রান যায়
পাকিস্তানের পূব দিকে বাংলা ভাষা চায়। ।
বর পুত্রঃ চলে গুলি মুসলমানদের, মুসলিম নিধনে
বাংলা কি আর গুলির ডরে মায়ের ভাষা ছারে!
মুনিঃ এই খানেতে বিদায় নিল জয়ধনমুনি ভবে
পিতা গেলে পিতা পাইবা বেটা লইলে কোলে
মাতা গেলে মাতা পাইবা বেটি কোলে লইলে
মাছের শত্রু চাই আর ভাইয়ের শত্রু ভাই
ভাইয়েরে পাইবানা জনম নতুন একটা লইলে
ভাইয়ের হেফাজত কইর তফিকে থাকিলে। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।