একজন আমি, একজন হারিয়ে যাওয়া এবং একজন দূর প্রবাসী
১.
গরু ঘাস খায়।
মানুষ গরু খায়।
সুতরাং মানুষ ঘাস খায়।
এটা হল পাগলের যুক্তি বা যখন তর্কে আর জেতার সম্ভাবনা থাকে না তখন আমরা এরকম অদ্ভুত যুক্তির সাহায্য নিয়ে থাকি।
উদাহরণঃ কয়েকদিন আগে আমরা কয়েকজন মিলে গল্প করছিলাম।
আমরা কয়েকজন একজোট হয়ে আরেক বন্ধুর সাথে তর্ক করছিলাম। সে বলে আমাদের ফ্যাকাল্টি নাকি আইবিএ থেকে পাশ করেছে। কিন্তু আমরা সবাই জানি যে ফ্যাকাল্টি এন.এস.ইউ থেকেই পাশ করেছে। শেষ-এর দিকে আমরা যখন প্রায় জিতে গেছি তখন সে বলল, “ আমাদের ফ্যাকাল্টি নাকি ঐ কালো ব্যান্ডের মেয়েদের মত গান গাওয়া ছেলেটার কাছ থেকে ছ্যাঁকা খেয়েছে। আর যেহেতু সেই ছেলে আইবিএ-তে পড়েছে, সুতরাং আমাদের ফ্যাকাল্টিও আইবিএ-র স্টুডেন্ট।
” এই কথা শুনে আমরা তর্ক থামিয়ে সজ়োরে হেসে উঠলাম।
২.
“ক” “খ”কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
“গ” “ক”কে হারিয়েছিল।
সুতরাং “গ”ও চ্যাম্পিয়ন।
এটা হলো মনকে স্বান্তনা দেয়ার জন্য খোঁড়া যুক্তি।
এই যেমন, ২০-২০ ওয়ার্ল্ড কাপের পর অনেকেই নিজেদের মনকে স্বান্তনা দিতে এই যুক্তির আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশকেও চ্যাম্পিয়ন ঘোষনা করে অন্যের হাসির খোরাক হয়েছেন। তাদের মতে বাংলাদেশ কোনো একসময় ভারত-কে হারিয়েছিল। আজ যেহেতু ভারত চ্যাম্পিয়ন সুতরাং বাংলাদেশও নাকি চ্যাম্পিয়ন।
৩.
অমুকের ছেলে ক্লাসে প্রথম হয়।
আমরা তোমার পেছনে ওর বাবা মা-র চেয়ে বেশি পরিশ্রম করি আর তোমাকে বেশি সুযোগ সুবিধাও দেয়া হয়।
সুতরাং তোমাকেও প্রথম হতে হবে।
বাবা মা সন্তানদের ওপর এভাবে ১০০ কেজি বস্তার বোঝা চাপিয়ে দেয়। কিন্তু তারা বুঝতে চায় না যে, পড়ালেখায় বুদ্ধির দরকার সবচেয়ে বেশি। আর এভাবে বোঝা চাপিয়ে দিয়ে ছেলেমেয়েদেরকে উৎসাহিত করার চেয়ে আরও ভীতই করা হয়।
[link|http://banglawritings.wordpress.com/2007/09/30/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।