যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।
আমি ঈশ্বরবাদী । তবে ধার্মিক হবার মতো কর্মকাণ্ড কিংবা গুনাবলী অর্জন করতে পারি নাই । তবে ধর্ম ভীরু নই ।
আমি ঈশ্বরের নির্দেশিত কর্মকাণ্ড পালন করতে পারিনা কোন বিশ্বাস-অবিশ্বাস এর জন্য নয় বরং অলসতা তার অন্যতম কারণ হতে পারে । সে বিষয়ে কখনও খুব সিরিয়াসলি কখনও ভাবিনাই ।
জন্মসূত্রে আমি যেমন বাঙালি তেমনি মুসলিমও ।
ধর্ম আমার কাছে খুবই স্পর্শকাতর , অত্যন্ত ব্যক্তিগত । এ বিষয়ে কারো অযাচিত হস্তক্ষেপ কাম্য নয় ।
তেমনি কোন মোল্লা কিংবা ধর্মগুরু কিংবা পীর আউলিয়ার মাজার প্রীতি , কদম মুসি আমার কাছে ধর্মের আওতায় মনে হয়না । বরং সেগুলো আমার কাছে কপুমন্ডুতা ।
নৃ-তাত্ত্বিক ভাবেই আমাদের বাংলার মানুষ কখনওই খুব ধার্মিক কিংবা কোন ধর্ম বিদেষী নয় । তারা কখনই সাম্প্রদায়িক নয় । বরং দিনের পর দিন তারা পরস্পর বিপরীত ধর্মাম্বলী হলেও শান্তি আর সম্প্রীতির মাঝেই ছিল ।
কিন্তু ইতিহাসের পরিক্রমায় দেখা যায় যখনই কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল এর প্রয়োজন পরে তখনই খুব নোংরা ভাবে ধর্মকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে সেই ভ্রাতৃত্ব বোধকে ধ্বংস করা হয় । মানুষকে মানুষের মুখোমুখি দাড় করিয়ে দেয় হয় ধর্মের মিথ্যে অজুহাতে । দেশ বিভাগ থেকেই মুলত এমন সাম্প্রদায়িক প্রবণতা লক্ষ করা যায় । ধর্মের ব্যাপারে বরাবরই আমরা এদেশের মানুষ বরাবরই উদার । যেকারণে ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ আমরা সঠিক মনে করিনাই ।
হয়তো তার ফলশ্রুতিতেই ১৯৭১ । আমরা সমগ্র জাতি এতো ঐক্যবদ্ধভাবে কি আর কখনও দাড়িয়েছি ?? আমরা ৭১ ঐক্যবদ্ধভাবে দাড়িয়েছিলাম কিন্তু ৪ ভিত্তির উপর । তার অন্যতম একটি ভিত্তি ছিল ধর্ম নিরপেক্ষতা । কেননা আমরা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে পরস্পরে সম্প্রীতি্ই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি । আমরা নৃ-তাত্ত্বিকভাবে তাই ।
কিন্তু সেই ঐক্য পচ্ছন্দ হয়নি কাদের ?? সেই রাজকার জামাত-শিবিরের । তারা ইসলামের নামে বিশ্বাস করে পাকিস্তান প্রেম । তারা রাজকারী করল । মুক্তিযুদ্ধের পর ইদুরের গর্তে ঢুকল । ১৯৭৫ পরবর্তিতে তারা জিয়ার হাত ধরে আবার গর্ত থেকে বেরিয়ে এলো , এরশাদ তাদের কথায় রাষ্ট্রধর্মের নামে রাষ্ট্রের খৎনা করল ।
এখন এসে তাদের হাল্কা পটকা ঠুনকো ঈমান এ বাচ্চাদের কৌতুকে ও আঘাত লাগে , কবি সাহিত্যিকের ভাষার অলংকরণ কিংবা উপমায় আঘাত লাগে । এতে করে কি ইসলাম ধর্মকে ঠুনকো বানানো হয় না । ঈমানদার বান্ধা , একজন মুমীনের ঈমান এতো ঠুনকো নয় ।
একটু খেয়াল করলে একটি বিষয় দেখা যায় এই জামাতীদের আর উর্দীধারীদের এই সম্পর্ক একে অন্যের প্রতি মমত্ববোধ কিন্তু ৗতিহাসিকভাবেই সত্য । ইয়াহিয়া-আইয়ুবশাহী থেকে জিয়া-এরশাদ সবার সাথেই তাদের সম্পর্কটা অনেকটা আত্মিক ।
তারা সবসময়ই একে অপরের পরিপুরকের কাজ করে এসেছে । সেই সম্পর্ক আজ এই একবিংশ শতাব্দিতে এসেও ঠিক আছে । বর্তমান সামরিকবাহিনীর সমর্থিত সরকার আর জামাতীদের সম্পর্ক অটুট রয়েছে সেই আদিকালের মতোই । যেজন্য এই সরকারের একজন উপদেষ্টা নিলর্জ্জভাবে জামাতীদের সাফাই গাইতেও দ্বিধাবোধ করেনা । কিন্তু সেই সম্পর্ক এতোদিন অনেকটা পর্দার আড়াল এ ছিল ।
এখন সেই পর্দা উঠানোর সময় এসেছে বোধহয় । তাই তাদের শক্তি তাদের ক্ষমতা দেখাতেই শুরু হয়েছে এক অভিনব অনুভূতিবোধের খেলা । যেন অনেকটা বাচ্চাকালের বরফ পাথর খেলার মতোই । এই সরকার কি এসবের মধ্য দিয়ে তাদের ধর্ম এর প্রতি অতি প্রেমই প্রকাশ করতে চয় ??!!
কিন্তু ইসলাম ধর্ম আর জামাতী ইসলাম যে একনয় জনগন তা অনেক আগেই জেনে গেছে । তাই সেই প্রচেষ্টা কি অমুলক নয় ?? বরং সরকারের এই অনুভূতি অনুভূতি খেলা ইসলামকে ঠুনকো আর ফেলনা বানায় না ?? আমার ব্যক্তিগত মত তাই ।
বর্তমান সময় এ বির্তকিত বিষয়টি যদি কোনভাবে সত্যি ইসলাম ধর্মকে কৌতুকপ্রদ করে তবে অবশ্যই তা অনুচিত । এজন্য প্রথম আলোর সম্পাদক ইসলাম অনুসারী মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন আর তার বিশ্বাস এর জায়গা থেকে এবং একজন মুমিন বান্দার প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে তিনি ্কটি কলাম লিখে ক্ষমা চাওয়াটাই যৌক্তিক । আর তিনি ক্ষমা চাইবেন ঈশ্বরের কাছে । কিন্তু সরকার মধ্যস্থতায় কিংবা বাইতুল মোকরমের খতিব কিংবা আলেমদের কাছে ক্ষমা চাওয়া কি একজন মুসলিমের কাছে গ্রহনযোগ্য হতে পারে ?? কোন মানুষ কিংবা প্রতিষ্ঠান ধর্মের মতন একটি বিষয়ে ক্ষমা করার যোগ্যতা কে দিয়েছে । আর তিনি কেমন খতিব তিনি সেই ক্ষমা গ্রহন করলেন ?? নাকি তিনি বলতে পারতেন আপনি সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন ।
হায় ঈশ্বর !! তবে কি এই প্রমাণিত হচ্ছেনা একটি গোত্র ধর্মকে উপজ্জীব্য করে ধর্ম এর তকমাধারী হয়ে ধর্মকে হীন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চায় !! রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চায় । তারা আর যাই হোক ধার্মিক হতে পারেনা । ১৯৭১ এ মিথ্যেভাবে ধর্মের দোহাই দিয়ে এরাই আমাদের হত্যা করেছে , মা-বোনদের ধর্ষন করেছে । আজ ২০০৭ এসেও এই ধর্মান্ধ ধর্মব্যবসায়ীরা তাদের পুরনো মিত্রদের সংগে নিয়ে আমাদের বিভ্রান্ত করে ক্ষমতা গ্রহণ করতে চায় ।
হায় ঈশ্বর তুমি আমাদের অজ্ঞতা, ধর্মান্ধতা দূর করে দাও ।
আমাদের আলোর পথ দেখাও । আর এইসব লেবাসধারী ভন্ড ধার্মিকদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা কর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।