সুর মানুষকে নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত করে দেয়। কিন্তু আশচর্যের বিষয় হলো শৈশবে শোনা গান বা সুরও মনকে উদ্বেলিত করে দিতে পারে। আর এ তথ্য জানা গেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারল লিন এবং জাস্টিন জুপনিক ৬২ জনকে নিয়ে একটি পরীক্ষা চালান। ১৯৫৫ সাল থেকে শুরু করে ২০০৯ পর্যন্ত প্রতি বছরের দুটি করে হিট গান তাদের শোনানো হয়।
তারপর এক এক করে তাদের কাছে জানাতে চাওয়া হয়, কোন কোন গান তার মনকে সবচেয়ে বেশি আন্দোলিত করেছে, জাগিয়েছে সুখ বা দুঃখের অনুভূতি, করে তুলেছে স্মৃতিমধুর। এসব প্রশ্নের পাশাপাশি পরীক্ষাধীন ব্যক্তিদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই গান তারা একা একা শুনেছিলেন অথবা বাবা-মা কিংবা সঙ্গীদের সঙ্গে বসে।
গবেষকদের দেখতে চেয়েছিলেন, কোন সময়ের সুর বা গান ওই শ্রোতাদের সবচেয়ে বেশি নাড়া দিচ্ছে। এর ভিত্তিতে পাওয়া তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেল, একেবারে শৈশব থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এক একটি গানের সঙ্গে জড়িত স্মৃতি উত্তরোত্তর বৃদ্ধির পেয়েছে। বিশেষ করে বাল্যকালে শোনা গান রীতিমতো ধাক্কা দিয়েছে স্মৃতির দুয়ারে।
গবেষকদের কাছে যেটা একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল। সেসব গান এমন এক সময়ের যখন পরীক্ষাধীন শ্রোতাদের বাবা-মায়েরা ছিলেন ২০-২৫ বছর বয়সী। এ থেকেই গবেষকদের সিদ্ধান্ত, ভালো শোনা গান বা সুরের প্রভাব থাকে আজীবন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।