আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওলামা সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচিতে যাবে হে

হেফাজতে ইসলাম দেশব্যাপী তাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড গতিশীল করতে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন করতে যাচ্ছে। ওই সম্মেলন থেকে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। এর আগে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক টিম দেশের সাংগঠনিক জেলাগুলো সফর করবে। সফরকালে জেলা ও উপজেলা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সংগঠনের দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, হেফাজতে ইসলাম তাদের ১৩ দফা আদায় আন্দোলনের চেয়ে এ মুহূর্তে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড গতিশীল করার ব্যাপারে মনোযোগী। দেশ ও বিদেশের নানামুখী চাপের কারণে আগামী কয়েক মাস বড় কোনো কর্মসূচি দিচ্ছে না তারা। তবে হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের দাবি, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও প্রধান দুই দলের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করতে এবং মাদ্রাসার ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। হেফাজতে ইসলামের মুখপাত্র, সাহিত্য সম্পাদক মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী বলেন, 'এখনো মাদ্রাসার ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। আন্দোলনের প্রস্তুতিও পুরোপুরি শেষ হয়নি। এ ছাড়া বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিরোধী দলও রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে। এ মুহূর্তে হেফাজত আন্দোলন কর্মসূচি পালন করতে গেলে একটি পক্ষ তা থেকে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে। হেফাজতের আন্দোলন থেকে যাতে কেউ সুযোগ নিতে না পারে এ জন্য কর্মসূচি পিছিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।'

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হেফাজতের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ঈদুল ফিতরের পর থেকে নানামুখী চাপে রয়েছে হেফাজতে ইসলাম। বড় কোনো কর্মসূচি ঘোষণা না দিতে সরকার পক্ষ থেকেও অনুরোধ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সাধারণ নেতা-কর্মীদের মধ্যে মামলা-হামলার আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই সাধারণ নেতা-কর্মীদের অনেকেই আন্দোলনের প্রতি আগ্রহী নয়। সাধারণ কর্মীদের অনাগ্রহের কথা চিন্তা করে বড় কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে না।

সংগঠনের আরেক শীর্ষ নেতা বলেন, আন্দোলনের বড় কর্মসূচি থেকে পিছিয়ে এলেও হেফাজতে ইসলাম সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবে। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড গতিশীল করতে কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক দল সাংগঠনিক জেলাগুলো সফর করবে। সফরকালে জেলা ও উপজেলা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করবে তারা। সাংগঠনিক সফর শেষে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেপ্টেম্বরে চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার সব প্রস্তুতি নিয়েই এগিয়েছিল হেফাজত ইসলাম। এর অংশ হিসেবে রোজার এক মাস দোয়া ও ইফতার মাহফিল করে নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করা হয়। কওমি মাদ্রাসাগুলোর ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হলে আগস্টের শেষ সপ্তাহে প্রত্যেক মাদ্রাসার প্রধানদের ডেকে পরামর্শ সভা করার সিদ্ধান্ত ছিল। এরপর শুরা কমিটির সদস্যদের ডেকে পরিকল্পনা সভা এবং জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনের দিনক্ষণ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আন্দোলন পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয় হেফাজত। ৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে পুলিশি অভিযান ও কেন্দ্রীয় নেতাদের নামে মামলা দায়েরের পর এক প্রকার তৎপরতাহীন পর্যায়ে চলে যায় হেফাজতে ইসলাম। এ সময় হাটহাজারী দারুল উলুম মাদ্রাসা ও দেশের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক হয়ে যায় হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম। জুনের শেষ সপ্তাহে কওমি মাদ্রাসার বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে হেফাজতে ইসলাম। রমজানে পুরোদমে শুরু হয় আলোচিত এই সংগঠনের কার্যক্রম।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.