আসন্ন কমনওয়েলথ সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে ১৫ নভেম্বর থেকে তিন দিনের কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ্রা রাজাপক্ষের কাছে লেখা এক চিঠিতে মনমোহন সিং তার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ভারতের তামিল দল ও কয়েকজন মন্ত্রীর চাপের মুখে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এসব দল ও মন্ত্রীর বক্তব্য, ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার সরকার সেদেশের তামিল বেসামরিক ব্যক্তিদের ওপর গণহত্যা চালিয়ে যুদ্ধাপরাধ করেছে। ফলে ওই দেশে অনুষ্ঠেয় সম্মেলন বয়কট করতে হবে। তবে শ্রীলঙ্কার সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। দেশটির সরকারি সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। এদিকে দ্বিবার্ষিক ওই সম্মেলনকে বর্জনের ভারতীয় সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তবে ওই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন তিনি। এতে অংশ নিয়ে তিনি তামিল হত্যার বিষয়ে শ্রীলঙ্কার সরকারের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করবেন। ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, তামিল টাইগারদের বিরুদ্ধে অভিযানের শেষ মাসে যুদ্ধাপরাধ করার অভিযোগের প্রশ্নের 'গুরুতর উত্তর' দিতে হবে রাজাপক্ষকে। তিনি আরও বলেন, তামিল নাগরিকদের ওপর নির্বিচারে গোলা নিক্ষেপ, বিচারবহিভর্ূত হত্যাকাণ্ড এবং ধর্ষণের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত চালাতে আহ্বান জানাবেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ্রা রাজাপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, সম্মেলনে মনমোহনের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আর এটি সত্যি হলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পারের পর দ্বিতীয় সরকারপ্রধান হিসেবে কলম্বো সম্মেলন বর্জন করছেন মনমোহন। বিবিসি, আল-জাজিরা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।