বিদেশি অপরাধীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশে। ১৫টি দেশের ১০ হাজারেরও বেশি নাগরিক এ দেশে অবস্থান করছে নানা অজুহাতে। এদের এক বড় অংশ অপরাধবৃত্তির সঙ্গে জড়িত। মাদক ব্যবসা ও জাল নোটের ব্যবসায় বিদেশিদের জড়িত থাকার বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। হুন্ডি ব্যবসা এমনকি প্রতারণাকে এদের কেউ কেউ পেশা হিসেবে নিয়েছে। আফ্রিকান কয়েকটি দেশের অপরাধীদের আচরণ সত্যিকার অর্থে বেপরোয়া। গ্রেফতারের পরও তাদের সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। দেশের অর্থনীতির জন্য সর্বনাশ ডেকে আনছে জাল নোটের ব্যবসা। শুধু বাংলাদেশি মুদ্রা নয়, ভারতীয় মুদ্রা এবং মার্কিন ডলার জাল করে তা বাজারজাত করছে সংঘবদ্ধ বিদেশি অপরাধীরা। বাংলাদেশি সহযোগীদের নিয়ে তারা গড়ে তুলেছে বিপুলসংখ্যক নেটওয়ার্ক। বাংলাদেশে অপরাধী কর্মকাণ্ড সংগঠনে এগিয়ে আছে পাকিস্তানি ও নাইজেরীয় নাগরিকরা। জাল নোট, হুন্ডি, মাদক ব্যবসা এবং জঙ্গি তৎপরতায় বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের একাংশ জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়। এসব অভিযোগে এযাবৎ উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পাকিস্তানি ধরাও পড়েছে। নাইজেরিয়া, ক্যামেরুনসহ বেশ কিছু আফ্রিকান দেশের নাগরিকের বিরুদ্ধেও রয়েছে প্রায় অভিন্ন অভিযোগ। এদের কেউ ট্যুরিস্ট ভিসা, কেউ মাল্টিপল ভিসা, কেউ সীমিত সময়ের ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বাংলাদেশে আসে। তারপর জড়িত হয় অপরাধ তৎপরতায়। মানব পাচার, মাদক পাচার, জাল নোট তৈরি, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, সাইবার ক্রাইম, হুন্ডি ব্যবসা এমনকি জঙ্গি তৎপরতায়ও জড়িত হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও এ দেশে অবস্থান করছেন এমন সংখ্যা ১৪ হাজারেরও বেশি। তাদের বড় অংশই এ দেশে থাকছে আত্দগোপন করে। নির্দিষ্ট ঠিকানার বদলে অন্য ঠিকানায়। উত্তরাসহ কিছু এলাকায় আফ্রিকান নাগরিকদের মাতলামির শিকার হতে হয় পথচারীদের। আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে বিদেশি অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। কিছু কিছু দেশের নাগরিকদের ভিসা দানের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপের কথাও ভাবা যেতে পারে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।