বাংলাদেশের গার্মেন্ট খাতে ১০০ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দেবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংককে পাঁচ শতাংশ হারে এ ঋণ সরবরাহ করা হবে। ব্যাংকগুলো থেকে গার্মেন্ট মালিকরা ১০ শতাংশ হারে এ ঋণ সুবিধা পাবে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাইকা বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর মধ্যে এ অর্থায়নের একটি যৌথ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আরএমজি সেক্টর সেফ ওয়ার্কিং এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম' শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার ও প্রজেক্ট ডিরেক্টর সুকোমল সিংহ চৌধুরী, পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কবীর আহমেদ ভূঁইয়া, বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট শহিদুল্লাহ আজীম, বিকেএমইএর সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এইচ আসলাম সানি এবং জাইকার সিনিয়র রিপ্রেজেনটেটিভ হিরোকি তোমিতা।
জানা গেছে, গার্মেন্টশিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে তিন ধাপে জাইকা বাংলাদেশের পোশাকশিল্প মালিকদের মোট ১০০ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা দেবে। এ সুবিধায় ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে ৫ শতাংশ হারে ঋণ নেবে এবং ব্যাংকগুলো কারখানা মালিকদের কাছে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হারে ঋণ দেবে। তবে সুদের হার ব্যাংক ও উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওপর নির্ধারণ করতে পারবে।
এ সময় গভর্নর ড. আতিউর রহমান ব্যাংকগুলোকে পোশাকশিল্প মালিকদের কম সুদে ঋণ দিয়ে তাদের সিএসআর কার্যক্রমে অবদান রাখা এবং মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার আহ্বান জানান।
সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরো সাদোশিমা, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ তাকাও তোদা, পরিচালক ইয়ুশিকো ইয়গ, বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম, বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মো. হাতেম, হাউজিং অ্যান্ড পাবলিক ওয়ার্কস মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. খন্দকার সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।