আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করতে পারবে পুলিশ

'তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) আইন, ২০১৩-সহ তিনটি বিল গতকাল জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। সংশোধিত আইন অনুযায়ী তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত অপরাধে পুলিশ ৪টি সুনির্দিষ্ট অপরাধের ক্ষেত্রে বিনা ওয়ারেন্টে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবে। আইনে এসব অপরাধ জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। আগের আইনে সব অপরাধ জামিনযোগ্য ছিল।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল জাতীয় সংসদে 'ভোটার তালিকা (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০১৩' এবং জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০১৩ নামে অপর দুটি বিলও পাস হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি সংশোধন আইনে শাস্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করে নূ্যনতম ৭ বছর এবং সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান করা হয়েছে। ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে সর্বোচ্চ ১০ বছর সাজার বিধান ছিল। আগের আইনে মামলা করতে হলে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হতো। কিন্তু আইন সংশোধনের ফলে পুলিশ অপরাধ আমলে নিয়ে মামলা করতে পারবে। গত ১২ সেপ্টেম্বর সংসদের চলতি ১৯ অধিবেশনের প্রথমদিন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ নিয়ম 'তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধনী), ২০১৩' অধ্যাদেশটি সংসদে উপস্থাপন করার পর সেটিকে বিলে রূপ দিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর এই বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধ্যাদেশ মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর বিভিন্ন মহল থেকে এর প্রতিবাদ জানানো হয়। অধ্যাদেশ থেকে বাকস্বাধীনতা হরণের ৫৭ ধারা বাতিল করে জাতীয় সংসদে অধ্যাদেশটি অনুমোদনের দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া ওয়ারেন্ট ছাড়া পুলিশের গ্রেফতারের ক্ষমতা প্রদানেরও সমালোচনা করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিরোধী দলের কয়েকজন সংসদ সদস্য বিলটির ওপর জনমত যাছাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণসহ সংশোধনীর প্রস্তাব দিলেও তারা সংসদে না থাকায় সেগুলো উত্থাপিত হয়নি।

ভোটার তালিকা সংশোধন আইন : যুদ্ধাপরাধের অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্তরা ভোটার তালিকাভুক্ত হতে পারবে না এবং যারা ভোটার তালিকাভুক্ত আছে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বিধান করে 'ভোটার তালিকা (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০১৩' গতকাল সংসদে পাস হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারে পরবর্তী রায়ের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালে পাস হওয়া মূল আইনটিতে এই সংশোধনী আনা হলো। আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে আইনমন্ত্রী বলেছেন, যে সব নাগরিক বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, মুক্তিযুদ্ধকালে মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় বিরোধিতা করেছেন ও যুদ্ধাপরাধসহ গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন এবং যাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত এসব অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে তাদের ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়া ও থাকা সমীচীন নয়। সে উদ্দেশ্যে ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ সংশোধন বিলটি প্রস্তুত করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০১৩ ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত নন এমন নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের বিধানসহ পরিচয়পত্রের তথ্য প্রকাশকে অপরাধ গণ্য করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০১৩ পাস করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে সেটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। মূল আইনের ৫ ধারা প্রতিস্থাপন করে বলা হয়েছে, '(১) ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ অনুসারে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত প্রত্যেক নাগরিক, নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্ত সাপেক্ষে, জাতীয় পরিচয়পত্র পাইবার অধিকারী হইবেন।'

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.