আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হরতালজনিত ক্ষয়ক্ষতি

বিরোধী দলের ৬০ ঘণ্টা হরতালকেন্দ্রিক নাশকতায় রাজধানীতে বাস-প্রাইভেট কারসহ ৫৩টি যানবাহনে অগি্নসংযোগ করা হয়েছে। ভাঙচুর হয়েছে প্রায় ৬০টি যানবাহন। যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণই শুধু প্রায় ৩০ কোটি টাকা। ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প খাতের ক্ষয়ক্ষতি আরও বেশি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের ভাবমূর্তি। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে হরতাল-অবরোধধর্মী রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে। সস্তা শ্রমের কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের একাংশ তাদের কলকারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরে আগ্রহী হলেও হরতাল ও রাজপথের সহিংসতার ভয়ে তারা এগিয়ে আসতে ভয় পাচ্ছেন। ঢাকা শিল্প ও বণিক সমিতির হিসাব মতে, এক দিনের হরতালে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প খাতে ১৬০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। সে হিসাবে তিন দিনের হরতালে শুধু এ খাতেই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪৮০০ কোটি টাকা। হরতাল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলছে। হরতালের কারণে বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকে, সেখানে শিক্ষার্থীদের যাওয়া-আসা করতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। হরতালে ককটেলের যথেচ্ছ ব্যবহার জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তিন দিনের হরতালে পুলিশ নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য দেড় হাজার লোকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আটক করেছে ১৮০ জনকে। ভ্রাম্যমাণ আদালত ৪৭ জনকে সাজা প্রদান করেছেন। হরতালকালে সাংবাদিক বা মিডিয়া কর্মীরা ছিলেন হরতালকারীদের অন্যতম টার্গেট। তিন দিনের হরতালে শুধু রাজধানীতে ৫০০ ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। ককটেলের আঘাতে যারা আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে সংবাদমাধ্যম কর্মীও রয়েছেন। পিকেটারদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে বহু ক্ষেত্রে সাংবাদিক ও নিরীহ পথচারীরাও নিগৃহীত হয়েছেন। হরতাল গণতান্ত্রিক কর্মসূচি হলেও এর গণতান্ত্রিক চরিত্র ক্রমেই নিষ্প্রভ হয়ে পড়ছে। জ্বালা-পোড়াও, বোমাবাজি ও সন্ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণকে হরতাল পালনে বাধ্য করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখার নামে জনগণের পথচলা এবং নির্বিঘ্নে কাজ করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষকে জিম্মি করা হচ্ছে প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির কাছে। যার অবসান হওয়া উচিত।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.