প্রধান দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ে বৈঠকের সত্যতা স্বীকার করেও কয়েক ঘণ্টা পরে আবার বিবৃতি দিয়ে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি বলেন, 'পত্র-পত্রিকা ও বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠক সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি, আলোচনার ফলাফল বলার মতো নয়। সেখানে কোনো এজেন্ডা ছিল না।' মেজর (অব.) মিজান মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত 'চলমান রাজনৈতিক সংকট ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবি' শীর্ষক এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা আকবর হোসেন ভুঁইয়া নান্টু। এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বরকতউল্লাহ বুলু, ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল প্রমুখ। এতে অংশ নিয়ে হান্নান শাহ আরও বলেন, বৈঠকে সৈয়দ আশরাফ বার বার বলেছেন, আমি কিছু বলতে পারব না, নেত্রী যা বলবেন আমি তা-ই করব। তিনি কর্তার (প্রধানমন্ত্রী) ইচ্ছায় কর্ম করেন। প্রধানমন্ত্রী আলোচনার ব্যাপারে আমাদের মহাসচিবকে বললেও সৈয়দ আশরাফকে কিছু বলেননি। তবে গতকাল দুপুরে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মধ্যে আলাপ হয়েছে বলে যে বক্তব্য দিয়েছি তা গণমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিএনপির দফতরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের কাছ থেকে বৈঠকের বিষয়টি ভিত্তিহীন নিশ্চিত হয়ে তা ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে জানিয়েছি। এর কিছু গণমাধ্যম প্রচার করেছে। বৈঠকের খবরটি অসত্য এবং নিছক গুজব। সুতরাং এ বিষয়ে আর কেউ যাতে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে সে জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করছি।'
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।