গত মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্রায় ৬ কোটি টাকার কাজ দিতে রাজি না হওয়ায় সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ূন কবিরকে দুই তরুণী দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে। গতকাল কড়া পুলিশী প্রহরায় আলোচিত দরপত্রটি দাখিল করা হয়। জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা জানান, জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায় ৫ কোটি ৯২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫০০ আসন বিশিষ্ট একটি অডিটোরিয়াম নির্মাণের জন্য গত ২১ অক্টোবর দরপত্র আহ্বান করা হয়। গতকাল ছিল জমাদানের শেষ তারিখ। কাজটি নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছিল একটি প্রভাবশালী মহল। ব্ল্যাকমেইলের শিকার সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ূন কবির জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের কাউতলী এলাকায় জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর নিচতলার পলাশ নামক একটি কক্ষে অবস্থানের সময় দরজায় কড়া নেড়ে ২০/২২ বছর বয়সী দুই তরুণী প্রবেশ করে। নেকাপ পরিহিত দুই তরুণী তাকে বলেন, সেলাই মেশিনের জন্য আবেদনপত্র নিয়ে এসেছি। জেলা পরিষদের প্রশাসকের কাছে আবেদনপত্র দেওয়ার কথা বললে পেছন থেকে কয়েকজন যুবক কক্ষে ঢুকে পড়ে। এরপর তরুণীরা তাকে জোর করে ঝাপটে ধরলে যুবকরা ক্যামেরা দিয়ে স্থির ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে। এসময় তারা বলে, 'আগামীকাল সব টের পাবে। পরে প্রকৌশলীর দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রকৌশলী হুমায়ূন কবীর। ঘটনার খবর পেয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পুলিশ সুপার ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পেঁৗছে নৈশ প্রহরী আলমগীর মিয়ার কথা অনুযায়ী কাউতলী এলাকা দিদারুল আলম ও মোশাররফ হোসেনকে গ্রেফতার করে। এদিকে ওই দুই যুবককে ছাড়িয়ে নিতে একটি প্রভাবশালী মহল তৎপর হয়ে উঠে। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান জানান, খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। মীমাংসার জন্য কয়েকজন লোক এসেছিল। এটি মীমাংসাযোগ্য অপরাধ নয়। জেলা পরিষদের ইতিহাসে এটিই বড় টেন্ডার। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক সৈয়দ এমদাদুল বারী বলেন, ঘটনা মীমাংসার জন্য কাউতলীর দুইজন সর্দার আমার কাছে এসেছিল। আমি ফিরিয়ে দিয়েছি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।