প্রতিদিন যুদ্ধ করছি,নতুন একটা দিনের আশায়
বাবাহারা ছেলে রাইহান। মা আর ছোট বোনকে নিয়ে তাদের সংসার কোনরকম চলে যায়।
প্রতিদিনের মত আজকে ও সকাল ৭:০০ টায় তার ক্লাস ৮ পড়ুয়া স্টুডেন্ট রাফিকে পড়াতে বের হয়েছে রাইহান। রাফিকে ৭:১৫ তে টাইম দিয়ে এসেছে তাই তাড়াতাড়ি পৌঁছানোর জন্যই কিছুটা তাড়াহুড়ার সাথে হাঁটতে থাকে
প্রত্যেকটা হরতালের দিনের মত আজকের হরতালের সকালও কিছুটা শান্ত,রাস্তায় গাড়ির চাপ অন্যান্য দিনের চেয়ে কম। কিছুক্ষন আগে প্রচণ্ড পিকেটিং হয়ে গেল মগবাজারের এক রাস্তায়।
৪ টি গাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছে পিকেটাররা। পিকেটাররা যখন ফিরে যাচ্ছিল ডিবি পুলিশের এক সদস্য এক পিকেটারকে ফলো করতে থাকে। ঐ পিকেটারের পড়নে ছিল নীল শার্ট।
রাইহান যখন তার স্টুডেন্টকে বাসায় না পেয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছিল হঠাৎ করেই খেয়াল করল কেউ একজন তাকে ফলো করছে। কিছুক্ষন পরে ডিবি পুলিশের
১২-১৩ জন সদস্য রাইহানকে তার নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়।
রাইহান কে দেখা মাত্রই ডিবি পুলিশের সদস্যরা সমানে কিল ঘুষি মারতে থাকে । রাইহানের মা ও রাইহান কেউ কিছুই বুঝতে পারে না। রাইহান যখন থানায় পৌঁছাল ততক্ষনে তার মুখ থেতলে গিয়েছে,মুখ বেয়ে রক্ত গড়িয়ে
পরছে।
৩ ঘণ্টা পর থানায় পৌছায় রাইহানের মা কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। ডিবির
নিষ্ঠাবান সদস্য রা ততক্ষণে খুব নিষ্ঠার সাথে রাইহানের হাত –পায়ের মোট ১৩ টি নখ প্লাস দিয়ে টেনে খুলে নিয়েছে...............
এভাবেই বাংলাদেশের পুলিশ প্রতিনিয়ত জনগণকে নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে আর নিরাপত্তা না দিয়েই বা উপায় কি হাজার হোক পুলিশ জনগণের বন্ধু বলে কথা......
ওহ পরে জানা গিয়েছিল ডিবি পুলিশের ঐ সদস্য পিকেটারকে ফলো করতে গিয়ে পথিমধ্যে ভুল
করেএকই রঙের শার্ট পরা রাইহানকে ফলো করেছিল
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।