সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না করলে পাহাড়ের পরিস্থিতি যে কোনো সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা সন্তু লারমা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চুক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাস্তবায়ন করছে না সরকার। যার কারণে পার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। সরকার যদি চুক্তি বাস্তবায়নে এগিয়ে না আসে পাহাড়ের যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে। সরকারের সদিচ্ছার অভাবে ও কায়েমি স্বার্থবাদীদের ষড়যন্ত্রের কারণে সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠী এবং উগ্র জাতীয়তাবাদী শক্তি তাদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। গতকাল পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ১৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সন্তু লারমা এ কথা বলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এম এন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা, মহিলা সমিতির সভাপতি জরিতা চাকমা, আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য থৈ ম্রা চিং মারমা উপস্থিত ছিলেন। সন্তু লারমা বলেন, সরকারের চুক্তি বাস্তবায়নে ব্যর্থতার কারণে পার্বত্যাঞ্চলে পাহাড়ি-বাঙালি স্থায়ী অধিবাসীসহ দেশে-বিদেশে প্রবল ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
বিশেষ করে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরকারী সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পরও বিগত পাঁচ বছরে চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণে জম্মু জনগণসহ পার্বত্যবাসী সরকারের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে ফেলেছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর এযাবৎ এই চুক্তিবিরোধী সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির ৯৩ জন সদস্যসহ তিন শতাধিক লোককে খুন ও শত শত নিরীহ লোককে অপহরণ ও নির্যাতন করেছে। সংস্কারপন্থি-ইউপিডিএফ এভাবে একের পর এক সশস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি সফরকালেও তারা সেই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অবাধে চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।