শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হলেও উৎপাদিত সবজির ভাল দাম পাচ্ছে না কৃষক। তাছাড়া পরিবহন সমস্যার কারণে শত শত টন সবজি বগুড়ার পাইকারি হাটগুলোতে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।
বগুড়া জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ২৬ ধরনের শীতকালীন সবজি চাষাবাদ হয়ে থাকে। চলতি বছর জেলায় শীতকালীন সবজি চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার হেক্টর জমি। উৎপাদন ধরা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন। গত শীত মৌসুমে সবজি চাষ হয়েছিল ১১ হাজার ২৭৮ হেক্টর জমিতে। বগুড়ার বিভিন্ন হাট ঘুরে জানা যায়, হরতাল অবরোধের কারণে গাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি আগুনে পুড়িয়ে ফেলছে বলে মালামাল পরিবহন করা যাচ্ছে না। বগুড়ায় উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের সবজির বড় বাজার ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রাম। এসব এলাকায় সবজি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। শত শত মণ বাঁধা-ফুল কপি, বেগুন, মুলা, টমেটো কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বগুড়ার মহাস্থান হাটের সবজি বিক্রেতা মাহাবুব জানান, মালামাল পরিবহন করা যাচ্ছে না। এতে করে কাঁচা সবজিগুলোয় পচন ধরে যাচ্ছে। কিছু সবজি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হলে সেগুলো স্থানীয় বাজারে কম দামে বিক্রি করা হয়েছে। অবরোধের কারণে সবজি ক্ষেত থেকে তোলা যাচ্ছে না। আবার জমিতে রাখাও যাচ্ছে না। ক'দিন আগে যে ফুলকপি ১ হাজার ২০০ টাকা মণে বিক্রি করেছি সেই ফুল কপি অবরোধের কারণে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা মণে বিক্রি করতে হচ্ছে।
খোলা বাজারে ফুল কপি গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা কেজি। হরতাল ও অবরোধের আগে ফুল কপি বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা কেজি। ৭৫০ টাকা মণের বেগুন নেমেছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। ৪০০ টাকা মণের বাঁধা কপি এখন ১৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এভাবেই প্রতিদিন সবজির দাম কমছে।
সবজি ক্রেতা বগুড়া শহরের নারুলী এলাকার আলমগীর কবির জানান, অবরোধের আগে বেগুন কিনতে হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি। সেই বেগুনের কেজি এখন ২০ থেকে ২৫ টাকা। পিয়াজ ৮০ টাকা থেকে কমে ৬৭ টাকা কেজি, নতুন আলু ৪০ টাকা থেকে কমে ২২ টাকা কেজি, মুলা ১০ টাকা থেকে কমে ৪ টাকা কেজি, টমেটো ৮০ টাকা থেকে কমে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।