২০১০ সালে স্মরণকালের ভয়াবহ ধসের পর এখনো দাঁড়াতে পারেনি দেশের শেয়ারবাজার। তিন বছরে বাজার মূলধন কমেছে এক লাখ কোটি টাকার বেশি। নিঃস্ব ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কান্না আজো থামেনি। তারা দিন গুনছেন কবে বাজার ফের শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়াবে। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় শেয়ারবাজারও অস্থিতিশী-লতা থেকে বের হতে পারছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় নিয়ে এলে বাজার ঠিক হয়ে যেত। কিন্তু সেই চক্র এখনো বাজার নিয়ে খেলছে। ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে ডিসেম্বরে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭১ কোটি ৪১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং সূচক পেঁৗছে ছিল প্রায় ৯ হাজার পয়েন্টে। লেনদেন গড় সর্বোচ্চ রেকর্ড করে ৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে ছিল। ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সূচক, লেনদেন ও শেয়ার হাত বদলের রেকর্ড করে। পরের দিন অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর দেশের শেয়ারবাজারে কালো অধ্যায় হিসেবে ভয়াবহ ধস নেমে আসে। ৫ ডিসেম্বর ২০১০ সালে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭১ কোটি টাকা, যা তিন বছর পর এখন এসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকায়। সে হিসাবে বাজার থেকে মূলধন উধাও হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা আর বাজার মূলধন হারিয়েছে তিন ভাগের এক ভাগ। শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, আমরা যে তদন্ত প্রতিবেদনে সুপারিশ দিয়েছিলাম সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে বাজার ঠিক হয়ে যেত। কয়েকজন দায়ী ব্যক্তিকে বিচারের মুখোমুখি করলে বাজারে আস্থা ফিরে আসত।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।