ফুটবলে দেশকে আমরা বড় কিছু উপহার দিতে পারিনি। জানি এ নিয়ে দেশবাসীর অনেক ক্ষোভ। বিশেষ করে এত সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ব্যর্থতা কেউ মেনে নিতে পারেনি। কথাগুলো মলিন কণ্ঠেই বলছিলেন দেশসেরা স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি। বিশ্বকাপ ট্রফি আগমন ঘিরেই তার সঙ্গে গতকাল কথা হচ্ছিল। ফুটবলের বিশ্বকাপ ট্রফি ঢাকায়। ফুটবলাররা তা দেখতে যাবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এমিলি ছাড়াও জাতীয় দলের অনেক ফুটবলারকে র্যাডিসনে দেখা যায়নি। এমিলি বললেন, আর কেউ পেয়েছেন কিনা তা আমার জানা নেই। তবে বাফুফে থেকে ট্রফি দেখতে আমাকে কোনো কার্ড বা টিকিট দেয়নি। সোমবার সকালে বাফুফে থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হলো মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে ভবনে চলে আসতে। সেখান থেকেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের খেলোয়াড় ট্রফি দেখাতে নিয়ে যাওয়া হবে। বিকালে আবার ফোন করে জানানো হলো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ভেন্যু বাতিল হওয়াতে আসা দরকার নেই। যার যার খুশিমতো আপনারা হোটেল র্যাডিসনে গিয়ে ট্রফি দেখে আসতে পারেন। আমি আর যায়নি, কারণ যাব কিসের ওপর নির্ভর করে। এমনিতেই অবরোধ চলছে তারপর আবার হাতে কোনো কার্ড নেই। এমন অবস্থায় নিরাপত্তারক্ষীরা যদি ঢুকতে না দেয়। সত্যি বলতে কি বৃহস্পতিবার যাব কিনা তা এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এমিলি বেশ আক্ষেপের সঙ্গে বললেন, মানলাম দেশকে আমরা বড় ধরনের সাফল্য এনে দিতে পারছি না। কিন্তু তাই বলে আমাদের কোনো উৎসাহ দেওয়া হবে না তা মানতে পারছি না। শুনেছি এবার বিশ্বকাপের মূল ট্রফি ঢাকায় এসেছে। এটাতো ফুটবলের জন্য বড় প্রাপ্তি। অনেকেই বলছেন এতে করে ফুটবল জেগে উঠবে। মনেপ্রাণে আমিও তা প্রত্যাশা করি। কিন্তু বাফুফের কি উচিত ছিল না ট্রফিকে ঘিরে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের আলাদাভাবে দলের উৎসাহ দেওয়া। দেখেন ট্রফি ঘিরে অনুষ্ঠানের ছড়াছড়ি কিন্তু একমাত্র আমাদের জন্য আলাদা প্রোগ্রামের ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।