আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গোপীবাগ হত্যাকাণ্ড

রাজধানীর গোপীবাগে বাবা-ছেলেসহ ছয় ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যা করেছে দুবর্ৃৃত্তরা। শনিবার সন্ধ্যায় সংঘটিত এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ধর্মীয় চরমপন্থিরা জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের শিকার লুৎফর রহমান ফারুক নিজেকে আধ্যাত্দিক সাধক বলে দাবি করতেন। নিজেকে কখনো ইমাম মেহেদী কিংবা কখনো ইমাম মেহেদীর সেনাপতি হিসেবে পরিচয় দিতেন। এ অভিযোগে একবার তিনি গ্রেফতারও হন। অনুমান করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সন্ধ্যার আগে সাত-আটজন দুর্বৃত্ত নিজেদের কথিত ইমাম মেহেদীর ভক্ত পরিচয়ে গোপীবাগের এই চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় যায়। তারা কথিত আধ্যাত্দিক সাধক লুৎফর রহমান ফারুকের সঙ্গে মাগরিবের নামাজ আদায় করে। তারপর নিহত আধ্যাত্দিক সাধকের মা, পুত্রবধূ, নাতি এবং একজন মহিলাকে পাশের একটি রুমে আটক রেখে পুরুষ সদস্যদের হত্যা করে। কথিত আধ্যাত্দিক সাধকের ছোট ছেলে বাইরে থাকায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যখন উদ্বেগজনক অবস্থায়, ঠিক সেই মুহূর্তে গোপীবাগের এই হত্যাকাণ্ড জননিরাপত্তাকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলল। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তা একমাত্র যথাযথ তদন্তে নিশ্চিত হতে পারে। তবে হত্যাকাণ্ডের ধরন দেখে মনে হয় এটি নিছক ডাকাতির ঘটনা নয়। ডাকাতি হলে মালামাল লুণ্ঠনের দিকে দুবর্ৃৃত্তদের নজর থাকত। বাসার সব সদস্যকে কাবু করার পর তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করার কথা তারা ভাবত না। নিজেদের দুষ্কর্ম ঢাকার জন্য হত্যার সিদ্ধান্ত নিলে সে ক্ষেত্রে নারী সদস্যদের রেহাই দেওয়া হতো না। যে কারণে যারাই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা প্রশাসনের দায়িত্ব হওয়া উচিত। আমরা আশা করব সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ হত্যাকাণ্ডের গ্রন্থিমোচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেবেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.