যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত লি হার্ভে ওসওয়াল্ড মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সিআইএ'র নিয়ন্ত্রণে ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিংহামটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক জেমস পেট্রাস এ কথা জানিয়েছেন। ইরানের ইংরেজি নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। পেট্রাস বলেন, ওসওয়াল্ডের সঙ্গে সিআইএ'র অনেক দিনের যোগসাজশ ছিল। কাগজপত্র থেকে দেখা যায়- সিআইএর গোয়েন্দা জর্জ জোয়ানিডেসের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন ওসওয়াল্ড। ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর ডালাসে কেনেডিকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ দশক পরও এ ঘটনা নিয়ে কোনো তথ্য ও দলিল প্রকাশ করেনি সিআইএ। জোয়ানিডেস সংক্রান্ত ৩০০ পৃষ্ঠার একটি ফাইল প্রকাশ করার জন্য সম্প্রতি সিআইএর বিরুদ্ধে মামলা করেছে ওয়াশিংটন পোস্টের সাবেক রিপোর্টার জেফারসন মোরলি। কেনেডিকে হত্যার ঘটনা তদন্তে ১৯৭০ দশকে সিআইএ'র পক্ষ থেকে অংশ নিয়েছিলেন জোয়ানিডেস। অধ্যাপক জেমস পেট্রাস বলেন, ওসওয়াল্ডের সঙ্গে সিআইএ'র যোগসাজশের কথা প্রকাশ পেলে কেনেডি হত্যা তদন্তের প্রকৃতি পুরোপুরি বদলে যেত। এ ছাড়া ওসওয়াল্ডের সঙ্গে সিআইএর যোগসাজশের বিষয়টি প্রকাশিত হলে দেশটিতে বিশেষ করে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে সিআইএর ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিত। সিআইএর কর্মকাণ্ডের বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেস কতটা নজরদারি করছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন পেট্রাস। তিনি বলেন, সাংবিধানিকভাবে যে ক্ষমতার পরিধি দেওয়া আছে তার বাইরে গিয়েও কাজ করছে এ সংস্থা। আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে গোপন পুলিশ বাহিনীর অস্তিত্ব রয়েছে এবং নির্বাচিত সরকারের যে কোনো শাখার নজরদারির বাইরে বসে এ বাহিনী তৎপরতা চালায়। অনলাইন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।