দেশের মহাসড়কগুলোতে অবরোধের আড়ালে ডাকাতি হচ্ছে। হরতাল-অবরোধের সুযোগ নিয়ে সংঘবদ্ধ অপরাধীরা একের পর এক অপরাধ সংঘটিত করছে। এ অপরাধের দায় পড়ছে বিরোধী দলের ওপর। জনমনে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে সিরাজগঞ্জে মহাসড়কের ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাজুড়ে সন্ধ্যার পর হরতাল-অবরোধ সমর্থকদের নাশকতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, পুলিশ-র্যাব-বিজিবি এমনকি সেনাবাহিনীর টহল থাকা সত্ত্বেও অবরোধকারীদের সহিংসতা থামছে না। এর পাশাপাশি অবরোধকে ঘিরে মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহন চালক ও যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত সিরাজগঞ্জে যানবাহন প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে চালক ও যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। প্রতিবেদনে বিচ্ছিন্নভাবে সিরাজগঞ্জ অংশের মহাসড়কের চিত্র তুলে ধরা হলেও তা সারা দেশের মহাসড়কগুলোর অভিন্ন চিত্র বললেও অত্যুক্তি হবে না। হরতাল-অবরোধের সুযোগ নিয়ে সংঘবদ্ধ অপরাধীরা মহাসড়কগুলোতে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে লিপ্ত হয়েছে। তাদের দুষ্কর্মের কারণে ব্যবসায়ীদের ঝুঁকি নিয়ে তাদের পণ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠাতে হচ্ছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট লাগাতার অবরোধ বা হরতালের কর্মসূচি দিয়ে সাধারণ মানুষ দূরের কথা সমর্থকদের কাছেও এর উপযোগিতা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করেছে। হরতাল-অবরোধে এখন যে কোনো সাড়া পড়ছে না রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে, হরতাল-অবরোধের মধ্যেও যানজট সৃষ্টি তারই প্রমাণ। রাজনৈতিকভাবে এ কর্মসূচি ১৮ দলের জন্য কোনো ফায়দা বয়ে আনতে না পারলেও তা দুর্বৃত্তদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং এর দায় চাপানো হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন প্রধান রাজনৈতিক জোটের ওপর। এই ঘেরাটোপ থেকে ১৮ দল কীভাবে বেরিয়ে আসবে এটি তাদের বিবেচনার বিষয় হওয়া উচিত। পাশাপাশি মহাসড়কে ডাকাতি ও দুর্বৃত্তপনায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।