টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সেনানিবাসে প্রশিক্ষণের সময় মর্টার শেল বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। গতকাল নিহত বিজিবি সদস্যদের অর্থ সহায়তার চেক তুলে দেওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন। ঘাটাইল শহীদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাসে গত বুধবার বিজিবির বার্ষিক প্রশিক্ষণের সময় মর্টার শেল বিস্ফোরিত হয়ে দুই সেনা সদস্য ও চার বিজিবি সদস্য নিহত হন। ওই ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, অনুশীলনের সময় কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটে বিজিবি সদস্যদের মৃত্যু হলো, তা খতিয়ে দেখা হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন একটি ঘটনা ঘটল, যা সত্যিই মর্মান্তিক। গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পিলখানায় চার বিজিবি সদস্যের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর তাদের পরিবারের কাছে মহাপরিচালকের নিজস্ব তহবিল থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও বিজিবি কল্যাণ তহবিল থেকে ২৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। নিহতদের পরিবারকে বিজিবি নীতিমালা অনুয়ায়ী প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এ সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন উপস্থিত ছিলেন। এদিকে আমাদের মাগুরা প্রতিনিধি জানান, ঘাটাইল দুর্ঘটনায় নিহত সেনা সদস্য পারভেজ খানের লাশ গতকাল দুপুরে মাগুরা পৌর কবরস্থানে সামরিক মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। পারভেজ খান মাগুরা সদর উপজেলার পারলা গ্রামের মৃত হাফিজ খানের ছেলে।
সেনাবাহিনীর ২০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার পারভেজ খানের লাশ সকাল ১১টায় তার বাড়ি পারলা গ্রামে পেঁৗছলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তার স্ত্রী রোকসানা বারবার মূর্ছা যান।
পিতাকে হারিয়ে শিশু কন্যা ছোঁয়া (৬) এবং পুত্র প্রান্ত (১২) কান্নায় ভেঙে পড়ে। দুপুর ১২টায় পারলা স্কুল মাঠে নামাজে জানাজা শেষে মাগুরা পৌর কবরস্থানে যথাযথ মর্যাদায় তার লাশ দাফন করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।