আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিক্ষোভের মধ্যেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর গণশুনানি শুরু

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টায় কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে বিদ্যাৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) প্রস্তাবের ওপর শুনানি শুরু হয়।

এই উদ্যোগের বিরোধিতায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই ভবনের সামনে শুরু হয় গণসংহতি আন্দোলনের ‘গণ অবস্থান’ কর্মসূচি। এর আগে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ মিছিল কারওয়ানবাজার এলাকা প্রদক্ষীণ করেন সংগঠনের কর্মীরা।

বিদ্যাৎ উন্নয়ন বোর্ডের পর বেলা আড়াইটায় শুরু হবে   পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুত্ বিতরণ কোম্পানির (ওজোপাডিকো)প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি।

এছাড়া বুধবার ঢাকা বিদ্যুত্ বিতরণ কোম্পানি (ডিপিডিসি) ও ঢাকা বিদ্যুত্ সরবরাহ কর্তৃপক্ষ (ডেসকো) এবং  বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) প্রস্তাবিত দামের ওপর গণশুনানি হবে।

শুনানির পর বিতরণ সংস্থাগুলোর প্রস্তাবের বিষয়ে বিইআরসির টেকনিক্যাল কমিটির মূল্যায়ন ও সুপারিশ জানানো হবে। এরপরই আসবে দাম বাড়ানোর ঘোষণা।

সর্বশেষ ২০১২ সালে সেপ্টেম্বরে খুচরা বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ এবং পাইকারির দাম ১৭ শতাংশ বাড়ানো হয়। এবার দাম বাড়লে বিদ্যুতের ২৬ লাখ ৫৪ হাজার গ্রাহককে বাড়তি অর্থ গুণতে হবে।

অপেক্ষাকৃত বেশি মূল্যের তেলভিত্তিক ভাড়া বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা বাড়ার পর গত পাঁচ বছরে খুচরা ও পাইকারি মিলিয়ে ১১ দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়।

তারপরও বিদ্যুৎ খাতে সরকারের ভর্তুকি দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা।

সর্বশেষ ২০১২ সালে ডিসেম্বরে খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হলেও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার। তবে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর সম্প্রতি নতুন করে দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সম্প্রতি সংসদে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেন।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমাদের আশেপাশের দেশে বা অন্যান্য দেশে দেখেন- কত টাকায় বিদ্যুৎ কেনে? উৎপাদন খরচ তো দিতে হবে।

ব্যবহার করবেন আর দাম দেবেন না?”

সরকার নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ার পর থেকে সিপিবি ও বাসদ এবং গণসংহতি সমিতিসহ বাম সংগঠনগুলো এর প্রাতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।  

সংগঠনগুলোর অভিযোগ, রাষ্ট্রীয় খাতের বন্ধ হওয়া বিদ্যুৎ কারখানা মেরামত, নাবয়ন ও সম্প্রসারণ না করে তেলভিত্তিক কুইক রেন্টালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে সরকারের ব্যয় বেড়েছে। আর এই ব্যয়ের বোঝা সরকার টানতে না পেরে জনগনের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.