স্যার আইজ্যাক নিউটন। বিখ্যাত এই পদার্থবিজ্ঞানী তিনটি কালজয়ী সূত্র আবিষ্কার করে অনেক উপকার করেছেন। তবে আমার সহপাঠীর বক্তব্য তুলে ধরলে জানতে পারবেন জনাব নিউটন ও তার সূত্র কলেজের পাঠ্যপুস্তকের সিলেবাসে যোগ হয়ে তাকে কী পরিমাণ প্যারা দিয়েছে। অবশ্য এ ব্যাপারে খোদ নিউটনই সতর্ক করে গেছেন। তিনি সূত্রে স্পষ্ট বলেছেন, প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। সূত্র মুখস্থ না হওয়ায় আমার সহপাঠীর ক্ষেত্রে সেই সূত্রেরই একটি প্রতিক্রিয়া হয়েছে। তবে একটু অন্যভাবে। ক্লাসে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। সে যাকগে। এ ধরনের একমুখী নীতির বহু উদাহরণ হরহামেশাই তো ঘটছে। প্রেমিকার সঙ্গে প্রেম করছেন হঠাৎ একদিন শুনবেন তার বিয়ে হয়ে গেছে। অথচ এই আপনি অভাগাই রয়ে গেলেন। কোনো প্রতিক্রিয়া নাই। প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেলে তার প্রতিক্রিয়া-স্বরূপ আপনারও বিয়ে হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু প্রেমিকা-হারা বেচারা ব্যাচেলর ট্যাগ খেয়েই থাকতে হয়। আবার আরেক সুন্দরীর প্রেমে পড়া এবং পরে তারও বিয়ে হয়ে যাওয়া। এভাবেই নিউটনের সূত্রের বারোটা বাজছে। জনাব নিউটনের কাছে তাই সূত্রের গরমিলের অভিযোগ পাহাড় সমান হচ্ছে দিন দিন। মধ্যবিত্তরা এমনিতেই সব ইস্যুতেই চিপায় থাকে। ইদানীং বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব উঠেছে। আরেক দফা চিপায় পড়ার উপক্রম। দাম বাড়লে নিউটনের সূত্র মোতাবেক একটা 'প্রতিক্রিয়া' হওয়ার কথা। এই চিপায় ফেলানোর ক্ষেত্রে আবার নিউটনের সূত্র চটাং করে কার্যকর হয়ে ওঠে। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিতে প্রতিক্রিয়া হবে। যেমন একটি পরিবারে যদি চারজন সদস্য থাকে তবে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে তাদের খরচ ম্যানেজমেন্ট এমন হতে পারে- এক ডিমভাজা চারজন মিলে খাবেন, এক জোড়া জুতো সবাই আগে-পরে করে পায়ে দেবেন। সবকিছুতেই এই যে ভাগাভাগির দীক্ষা পাচ্ছেন সেটা কিন্তু বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণেই হতে পারে। তাই হা-হুতাশ না করে আসুন তৃপ্ত হই এই ভেবে যে, জনাব নিউটনের সূত্র বাস্তবায়ন হচ্ছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।