বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনকে (পিএসসি) ঢেলে সাজানোর তাগিদ দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। বোদ্ধা মহলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে আরও সক্রিয় করা দরকার। এতে এমন লোকদেরই নিয়োগ করা উচিত যাদের প্রজ্ঞা ও নিরপেক্ষতা সব মহলের সমীহ অর্জন করবে। দল-মতের ঊধের্্ব থেকে পিএসসি দায়িত্ব পালন করবে এমনটিও বাঞ্ছনীয়। বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পিএসসিকে ঢেলে সাজানোর আভাস দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, পিএসসির ১৩ সদস্যের ছয় জনের চাকরির মেয়াদ শীঘ্রই শেষ হবে। এ অবস্থায় এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি কাজের গতি হারিয়ে ফেলেছে। প্রতিবেদনে আভাস দেওয়া হয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান ও পিএসসি সদস্যদের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পিএসপিকে ঢেলে সাজানোরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) সরকারি চাকরিতে নিয়োগদানের কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিবেচিত। পিএসসির ওপর প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা অনেকাংশে নির্ভরশীল। সরকারি চাকরিতে যোগ্য প্রার্থীরা মনোনীত হবে কি হবে না তা অনেকাংশে তাদের দক্ষতা ও সততার সঙ্গে সম্পর্কিত। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, এ ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকমিশন তার দক্ষতা প্রশ্নাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। সরকারি চাকরিতে যোগ্যতার বদলে দলবাজি ও মোসাহেবি নিয়োগ ও পদোন্নতির নিয়ামক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। এ অকাম্য অবস্থার অবসান ঘটাতে চাইলে পিএসসিকে ঢেলে সাজিয়ে এর নিরপেক্ষতা যেমন নিশ্চিত করতে হবে, তেমন সুযোগ্য ও অঙ্গীকারবদ্ধ ব্যক্তিদেরই এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিতে হবে। পিএসসি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কাউকে পুনঃনিয়োগ দেওয়ার বদলে নতুনদের এসব পদে নিয়োগের উদ্যোগ নিতে হবে। পুনঃনিয়োগের টোপ পিএসসির নিরপেক্ষতা ভঙ্গে প্রায়শ ইন্ধন জোগায়। অতি সম্প্রতি পিএসসির কাজকর্মে যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে তার পেছনে মেয়াদ শেষে পুনঃনিয়োগ পাওয়ার অভিলাষ অনেকাংশে দায়ী। মেয়াদ শেষ হওয়ার মুখে কোনো কোনো সদস্য পুনঃনিয়োগ পাওয়ার র্যাটরেসে ব্যস্ত থাকায় যে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। আমাদের বিশ্বাস, সুশাসনের স্বার্থে সরকার পিএসসির দক্ষতা বাড়ানোর জন্য যা কিছু করা দরকার সব কিছুই করবে। এ ব্যাপারে কোনো হেলাফেলা থাকা উচিত নয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।