বন্ধ হয়ে গেছে বরিশাল রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল। চিকিৎসক ও কর্মচারীদের তিন মাসের বেতন বকেয়া থাকায় সেখানকার চার চিকিৎসক কর্মস্থলে আসা বন্ধ করে দেওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় সোমবার সব রোগীকে ছাড়পত্র দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে মা ও শিশুদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হতো। অর্ধশতাধিক বছরের পুরনো এ চ্যারিটি হাসপাতালটি বাণিজ্যিক হাসপাতালে পরিণত করার পর এলাকাবাসীর ব্যানারে আন্দোলন শুরু হলে অর্থদাতা ব্যবসায়ীর সঙ্গে মতানৈক্য তৈরি হয়। ওই ব্যবসায়ী অনুদান দেওয়া বন্ধ করে দিলে অর্থসংকটে থুবড়ে পড়ে হাসপাতালটি। সূত্র জানায়, রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে পাঁচ চিকিৎসক, ১২ জন সেবিকা ও ৪০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত ছিলেন। গত নভেম্বর থেকে তাদের বেতন বন্ধ। এ অবস্থায় ডা. সুস্মিতা ইসলাম, ডা. ফারজানা রহমান, ডা. লায়লা ফারজানা ও ডা. মাহবুবা সাকি গত রবিবার রোগীদের ছাড়পত্র দিয়ে হাসপাতালে আসা বন্ধ করে দেন। হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. এনায়েত করিম জানান, ৪ চিকিৎসক পদত্যাগ করেননি। তারা বেতন না পাওয়া পর্যন্ত কাজে যোগ দেবেন না বলে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। ফলে সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থায় অচলাবস্থা নেমে আসে। এ কারণে হাসপাতালে ভর্তি থাকা ২০ রোগীকে সোমবার অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি গতকাল হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগী দেখছেন। জানা যায়, শিল্পপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেনের আর্থিক অনুদানে নতুন ভবন নির্মাণ করে এক বছর আগে হাসপাতালটি বাণিজ্যিকে রূপান্তর করা হয়। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আবদুর রব বলেন, অচিরেই এই হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।