আজ থেকে শুরু হচ্ছে স্বপ্নের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ। গত বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জমকালো কনসার্টের মাধ্যমে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। আজ মিরপুর স্টেডিয়ামে শুরু হবে উদ্বোধনী খেলা- আফগানিস্তানের সঙ্গে স্বাগতিক বাংলাদেশের ব্যাট ও বলের লড়াই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর বসে ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ড, ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় বসেছিল আগের চার আসর। এবারই প্রথম আইসিসির সর্ববৃহৎ ইভেন্টটি বসছে ঢাকায়। আসরে পুরুষ বিভাগে ১৬ আর মহিলা বিভাগে ১০- মোট ২৬টি দল অংশ নিচ্ছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ৬২টি খেলা হবে। এর মধ্যে পুরুষদের ৩৫টি এবং মহিলাদের খেলা ২৭টি। টুর্নামেন্টের ফাইনাল ৬ এপ্রিল এবং সেমিফাইনাল ৩ ও ৪ এপ্রিল। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল হবে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পঞ্চম আসর এবার দুই ধারায় বিভক্ত। প্রথম ধারায় ১৬-২১ মার্চ বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান, হংকং, নেপাল, নেদারল্যান্ডস ও সংযুক্ত আরব আমিরাত অংশ নিচ্ছে বাছাই পর্বে। দুই গ্রুপের শীর্ষ দুই দল খেলবে চূড়ান্ত পর্বে। চূড়ান্ত পর্ব শুরু হবে ২১ মার্চ দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে। টি-টোয়েন্টির পঞ্চম বিশ্বকাপ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা বর্ণাঢ্য সাজে সেজেছে। বিশ্বকাপ উপলক্ষে সারা বিশ্বের ক্রিকেট বোদ্ধাদের দৃষ্টি থাকবে বাংলাদেশের দিকে। এশিয়া কাপ ক্রিকেটের পরপরই বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন- বিশ্ব পরিসরে বাংলাদেশকে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তার সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছে। মাত্র আড়াই মাস আগেও রাজনৈতিক সহিসংতার কারণে বাংলাদেশ ছিল বিশ্ব সমাজের অন্যতম উদ্বেগের কেন্দ্রস্থল। এশিয়া কাপ ক্রিকেট কিংবা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশে আয়োজন করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়েও সংশয় সৃষ্টি হয়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ক্রিকেট প্রেম সে সংশয়কে পাশ কাটাতে সক্ষম হয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সফল করতে দল-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের যে আগ্রহের প্রকাশ ঘটেছে তা তাৎপর্যের দাবিদার। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে
ক্রিকেটের অবদানকে মনে রেখে এ দেশে ক্রিকেট চর্চায় আরও মনোযোগ দেওয়া হবে আমরা তেমনটিই দেখতে চাই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।