কাজ, মানে শুটিংয়ের দিন একরকম, অন্য দিনগুলো অন্য রকম রুটিন শহীদুজ্জামান সেলিমের। মঞ্চ, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র—অভিনয়ের সব মাধ্যমেই তিনি সফল। পোশাক-আশাক, চালচলন ও জীবনযাপনেও তাঁর আছে নিজস্ব একটা ধরন। সেটিই জানা যাক আজ।
তিন দশকের বেশি সময় ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত শহীদুজ্জামান সেলিম।
মঞ্চ, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র—সবখানেই সফল তিনি। অভিনয়ের বাইরেও একজন আকর্ষণীয় মানুষ। কথা বলা, চলাফেরা বা পোশাক—সবটাতেই আছে নিজস্ব স্টাইল। বিনয়ের সঙ্গে বলেন, ‘আমি তো খুব বেশি স্টাইলিশ না। ’
শহীদুজ্জামান সেলিমের প্রতিদিনের রুটিন চলে দুই ধারায়।
শুটিং থাকলে একরকম, না থাকলে আরেক রকম। দেখা যায়, শুটিং থাকলে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে তৈরি হন। শুটিং শেষে বাসায় ফিরে আসেন। রাতের খাবারটা একসঙ্গে স্ত্রী-সন্তান নিয়েই খেতে ভালোবাসেন। এরপর গল্প আর টিভি দেখে সময় কাটে ঘুমোতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত।
ড্রিম ফ্যাক্টরি নামে শহীদুজ্জামান সেলিম ও তাঁর কয়েক বন্ধুর একটা প্রডাকশন হাউস আছে।
‘যেদিন শুটিং থাকে না, সেদিন একটু বেলা করেই ঘুম থেকে উঠি। এরপর নাশতা খেয়ে অফিসে যাই। সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফিরে চা খেয়ে সাইকেল নিয়ে বের হই। দিনে-রাতে যখন সময় পাই, সাইকেল চালাই।
মাঝেমধ্যে অফিসে চলে যাই সাইকেল চালিয়ে। সাইকেল চালানোর সময় গরমের দিনে খাটো প্যান্ট আর টি-শার্ট পরি। শীতে পরি ট্রাউজার। এ সময় মাথায় হেলমেট, পিঠে ছোট্ট ব্যাগ, হাতে ব্যান্ড আর পায়ে থাকে কেডস। ’
বাসায় ফিরে হাত-মুখ ধুয়ে বই নিয়ে বসেন।
রাজনীতির বই, উপন্যাস ইত্যাদি বেশি পড়েন। পছন্দের পোশাক পাজামা-পাঞ্জাবি হলেও আরামের জন্য বেশি পরেন টি-শার্ট। ভালো মানের পাঞ্জাবির জন্য ছোটেন দরজির দোকানেও। নানা রঙের পাঞ্জাবি আছে তাঁর। কোনো পার্টিতে গেলে স্যুট অথবা ব্লেজার পরেন।
শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘পোশাকের পাশাপাশি জুতা, সুগন্ধি ও রোদচশমা কিনতে ভালো লাগে। দেশের বাইরে গেলে জুতা কিনেই ব্যাগ ভরে ফেলি। দেশে তো মাঝেমধ্যে ফরমাশ দিয়েও জুতা বানাই। ’
জুতা কেনার প্রতি যে ঝোঁক আছে, সেটা শহীদুজ্জামান সেলিমের সংগ্রহ দেখেই বোঝা যায়। বারান্দার একপাশে বিশাল বড় তাকজুড়ে শুধু নিজের জুতা, হঠাৎ করে দেখলে যেটাকে জুতার দোকান মনে হতে পারে।
অনেক ঘড়িও আছে তাঁর সংগ্রহে। একটা বের করলে সেটা পরেই পর পর কয়েক দিন কেটে যায়। তারপর আবার নতুন একটা বের করেন। চুলটা ছোট করে কেটে ব্যাক ব্রাশ করতেই ভালোবাসেন। তবে অভিনয়ের প্রয়োজনে মাঝেমধ্যে চুল সাজাতে হয় বিভিন্ন ঢঙে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।