আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হোন, আবার?

একসময় যখন বাংলাদেশের পাহাড়ি নৃ-তাত্ত্বিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীগুলো 'আদিবাসী না ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী' তা নিয়ে ভীষণ বিতর্ক ছিল। তখন না বুঝে না জেনে অনেকেই এ বিতর্কে জোরালো অংশগ্রহণ করতো। এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে-সরকার, গবেষক ও বিশেষজ্ঞসহ অনেকেই মত দিচ্ছেনযে, বাংলাদেশে কোন আদিবাসি নেই। যদি কাউকে আদিবাসী বলতেই হয় তবে তারা হাজার বছর ধরে এদেশে বসবাসরত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী। পাহাড়িরা বাঙ্গালীদের অনেক পরে মাত্র কয়েকশত বছর আগে এদেশে আসে পাশ্ববর্তী দেশগুলো থেকে।

এ বিষয়ে সরকার অনেকবার বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করেছে। বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। নিচের লিংক দুইটি দেখা যেতে পারে। Click This Link Click This Link তাছাড়া পাহাড়িদের সঙ্গে সরকারের যখন শান্তিচুক্তি হয় তখনও তাদেরকে আদিবাসী হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে তখন আপত্তিও উঠেনি।

এখন কেন এ বিষয়ে এত বিতর্ক! আজ শন্তু লারমা আদিবাসী স্বীকৃতিসহ অধিকার আদায়ের জন্য আবারও লড়াইয়ের হুমকি দিলেন। কেন? কয়েকজন বাঙ্গালী রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবি আর নারী নেত্রী আবার তার সঙ্গে সুর মেলালেন। তাদের উদ্দেশ্য আর জীবনবোধ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। বিদেশ থেকে তথাকথিত আদিবাসীদের নামে আসা হাজার হাজার কোটি টাকার কাজকারবার। আদিবাসী হিসাবে স্বীকৃতিটা একবার আদায় করে নিতে পারলে পকেট ভারী হবে।

হিসাবটা এতটা সরল না হলেও এখানে ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থ যে প্রবলভাবে উপস্থিত তা অস্বীকার করার উপায় নেই। আওয়ামী লীগ সরকারেরর অনেক কর্মকান্ডে মানুষ বিরক্ত হলেও আদিবাসী প্রশ্নে সরকারের ভূমিকার জন্য সাধুবাদ পাবেই। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে, পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের উপর অনেক অন্যায় করা হয়েছে। সেজন্য শান্তিচুক্তি হয়েছে। সরকার আরো নানাভাবে তাদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।

তবে এ জন্য তাদের আদিবাসী বলে স্বীকৃতি দেওয়া সমাধান নয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.